বিজেপিতে যোগদান দিতেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেন একদা তৃণমূলের কানন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ ওয়াই ক্যাটাগড়ি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে তাঁকে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে শোভনের নিরাপত্তা চেয়ে আর্জি মঞ্জুর করা হয়৷ আগামী সপ্তাহ থেকে সিআরপিএফের জওয়ানরা শোভনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবেন বলে খবর৷
বিজেপিতে যোগ দিতে না দিতেই নিজের নিরাপত্তা চান শোভন৷ দাবি করেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণে তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন৷ হতে পারে হামলা৷ এর আগেও তিনি মাধ্যরাতে হামলার শিকির হয়েছিলেন বলেও করা হয় উল্লেখ৷ ফলে, তিনি চান, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা৷ যদিও, মেয়র-মন্ত্রী থাকার সময় নিরাপত্তা পেতেন তিনি৷ মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তুলে নেওয়া হয় তাঁর নিরাপত্তা৷
বুধবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে শোভন বলেন, ‘‘আজ বিরোধীদের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না৷ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে৷ কেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী দিতে দেওয়া হল না? আমি এই নিয়ে দলে প্রশ্ন করেছিলাম৷ আর তাতেই আমাকে কোণঠাসা করে দেওয়া হল৷’’
এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আজ শোভনবাবু নৈতিকতার কথা বলছেন৷ কিন্তু, নিজে দুই সন্তানকে ফেলে চলে গিয়েছেন৷ তার পরও শোভনের মুখে নৈতিকতার কথা মানায় না৷’’ রত্নাদেবী আরও বলেন, ‘‘শোভনকে বিজেপি নিয়েছে, তা মেনে নেওয়া যেতে পারে৷ কিন্তু,বৈশাখী? ও কবে নেত্রী ছিল জানি না৷ ও আমার ঘর ভেঙেছে৷ এই কলকাতার আরও বহু ঘর ভেঙেছে৷ আজ বিজেপি বৈশাখীকে দলে নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য হারিয়েছে৷ আর মুকুল রায় কীভাবে ওকে দলে নিল৷’’ বলেন, ‘‘যতই দল পরিবর্তন করো না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই তোমাকে ফিরতে হবে৷’’
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের প্রায় সমস্ত পদ থেকেই এবার সরে দাঁড়িয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে ইস্তফা দেন শোভন৷ বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে খবর সূত্রের৷ আপাতত শুধু বিধায়ক ও কাউন্সিলর পদে রয়েছেন শোভনবাবু৷ শোভনের দলবদল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা ছিল৷ শোভনকে ফেরাতে শেষ চেষ্টাও করেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ কিন্তু, পার্থর প্রস্তাব ফিরিয়ে তৃণমূলের কানন এখন পদ্মে৷