দেবময় ঘোষ: বাড়ির উঠানে চাটাই পেতে ছোট বৈঠক করুন। আম জনতার সমস্যার কথা শুনুন। — বাঁকুড়ার সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপির নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন অমিত শাহ। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুঝিয়েছেন, স্টেজ-প্যান্ডেল বেঁধে সভা করলে শুধু নিজের বক্তব্যই বলা যায়। কিন্তু আম জনতার বক্তব্য শোনা যায় কি? এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনতে হবে। সে সমস্যা সমাধানের রাস্তাও বলে দিতে হবে। বুথে বুথে এই কাজটি করার জন্য বড় প্যান্ডেল বাঁধার প্রয়োজন নেই। গৃহস্থের উঠানে ১৫-২০ জনের ছোট বৈঠকই বড় কাজে দেবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে ‘সামাজিক কার্যকর্তা মিলন’ শীর্ষক বৈঠকে দলের দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি সাংগঠনিক অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাসই বাকি। সংগঠনিক শক্তি কোন পর্যায়ে তা যাচাই করে নিতে তিনি তৃণমূলস্তরে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের উপরেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, দলের আঞ্চলিক নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, প্যান্ডেল বেঁধে বড় সভা জেলায় জেলায় হবে। কিন্তু শুধু তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। এলাকার নেতাদের ছোট সভার গুরুত্ব বুঝতে হবে।
এদিন রাজ্যে দুই-তৃতীয়াংশ আসন দখলের হুঙ্কার দিয়েছেন অমিত। অমিতের দাবি উড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, দিবাস্বপ্ন। তবে এদিন বিজেপির ছোট-বড় কার্ষকর্তারা চাইছিলেন যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্য সরকারকে কিছু বার্তা দিয়ে যান। বার্তার সঙ্গে দুই-তৃতীয়াংশ আসন দখলের ‘রেসিপি’ও দিয়ে গিয়েছেন তিনি। বাঁকুড়া বিজেপি কর্মীর বাড়িতে চাটাইয়ের উপর বসে মধ্যাহ্নভোজন করেছেন। এটি বিজেপি এবং আর এস এস নেতৃত্বের অতি পুরানো নীতি। কিন্তু এর মাঝেই কোথাও যেন তিনি রাড়বঙ্গ, হাওড়া-হুগলী, মেদিনীপুর এবং নদীয়ার নেতাদের বার্তা দিয়ে গেলেন, কাঠের পাটাতনে দাঁড়িয়ে মাইক হাতে ভাষণ দিলেই সব দায়িত্ব শেষ নয়, আম জনতার বাড়িতেও পৌঁছে যেতে হবে। স্থানীয় বৈঠক করতে হবে। স্থানীয় সমস্যার কথা শুনতে হবে।