প্রায় ফাঁকা বিজেপির ব্রিগেড, ‘হ্যাঙ্গারে’ও মিলল না রক্ষা!

কলকাতা: তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ শেষে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘আমাদের পার্থবাবুর মাথা যেমন ফাঁকা থাকে, অনেকটাই৷ সেরকম অনেকটাই ফাকা ছিল ব্রিগেড৷’ এবার সেই বিজেপির ব্রিগেড থেকে গেল অধিকাংশ ফাঁকা৷ ছাউনির নিচে বিজেপি কর্মীরা ভিড় জমালেন বটে, কিন্তু ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের অধিকাংশ জায়গাই পড়ে রইল ফাঁকা৷ বুধবারের ফাঁকা ব্রিগেড ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

প্রায় ফাঁকা বিজেপির ব্রিগেড, ‘হ্যাঙ্গারে’ও মিলল না রক্ষা!

কলকাতা: তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ শেষে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘আমাদের পার্থবাবুর মাথা যেমন ফাঁকা থাকে, অনেকটাই৷ সেরকম অনেকটাই ফাকা ছিল ব্রিগেড৷’ এবার সেই বিজেপির ব্রিগেড থেকে গেল অধিকাংশ ফাঁকা৷ ছাউনির নিচে বিজেপি কর্মীরা ভিড় জমালেন বটে, কিন্তু ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের অধিকাংশ জায়গাই পড়ে রইল ফাঁকা৷ বুধবারের ফাঁকা ব্রিগেড ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

বিজেপি সূত্রে খবর, ভোট প্রচারে ঝড় তুলতে আজ ব্রেগেড দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা হওয়ার বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি৷ রোদে, গরমে যাতে কর্মীদের কষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করতে ছিল ব্যপক আয়োজন৷ এই প্রথম ছাউনি দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা ব্রিগেড৷ ব্রিগেডের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত যা হয়নি৷ মাথার উপর লোহার অবস্থায়ী ছাউনি, ৫৪ লাখ খরচ করে চারটি ট্রেন ও বাস ভাড়া নেওয়া হলেও ভরল না বিজেপির ব্রিগেড৷ তার উপর রয়েছে চূড়ান্ত অব্যস্থা৷ অভিযোগ, গ্রাম থেকে আসা কর্মীদের জন্য ছিল না কোনও খাবারের ব্যবস্থা৷ ১৫-২০ হাজার জনের জন্য খিচুরির আয়োজন থাকলেও দূরদূরান্ত থেকে আসা কর্মীদের জন্য পর্যপ্ত খাওয়ার বন্দোবস্ত করে উঠতে পারেনি সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল৷ এমনকী পানীয় জলটুকুও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে ব্রিগেডে আসা বীরভূমের প্রায় আড়াই হাজার বিজেপি নেতা-কর্মীদের একটি দলকে সারারাত অভূক্ত থাকতে হয়েছে বলে অভিযোগ৷ ভর দুপুরে খালি পেটে থাকার পর খাবারের সন্ধান্তে মোদি আসের আগেই সভাস্থল ছেড়ে চলে যান বেশ কয়েক হাজার কর্মী৷ তাঁদের দাবি, খালি পেটে কি আর ভাষণ শোনা যায়!

প্রায় ফাঁকা বিজেপির ব্রিগেড, ‘হ্যাঙ্গারে’ও মিলল না রক্ষা!
তৃণমূলের ব্রিগেড৷ ফাইল ছবি৷

বিস্তর হাঁক ডাকের পর, একই ভাবে তৃণমূলের ব্রিগেডেও প্রায় ফাঁকা থাকে! সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই অভিযোগ তুলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ গত ১৯ জানুয়ারি সাংবাদিক বৈঠক থেকে দিলীপের কটাক্ষ, ‘‘আমাদের পার্থবাবুর মাথা যেমন ফাঁকা থাকে, অনেকটাই৷ সেরকম অনেকটাই ফাকা ছিল ব্রিগেড৷’’  মাঠ ভরাতে এদিন সিভিক ভলেন্টিয়ার, সবজিওয়ালা, টোটো চাকলদের তুলে আনা হয়ে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি৷

প্রায় ফাঁকা বিজেপির ব্রিগেড, ‘হ্যাঙ্গারে’ও মিলল না রক্ষা!ওই দিন সকাল থেকে একের পর এক টিভি চ্যানেল ভরা ব্রিগেডের ছবি দেখানোর হাজারো কসরৎ করলেও ক্যামেরাতেই ধরা পড়েছে ফাঁকা ব্রিগেডের ছবি৷ দলমেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলা তখন ঢের বাকি, মঞ্চে সবে মাইক ধরেছেন কেজরিওয়াল৷ দুপুর দুটো নাগাদ বহুতল থেকে তোলা ছবিতেই ধরা পড়েছে সব আয়োজনই আছে, কেবল মানুষ নেই৷ যত গর্জায়, তত বর্ষায় না! ফের বোঝালো তৃণমূল-বিজেপির ফাঁকা ব্রিগেড৷ সেই তুলনায় বামেদের ব্রিগেড ছিল অনেকটাই শক্ত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 5 =