নয়াদিল্লি: তিন বছর আগেও তিনি ছিলেন দলনেত্রীর অন্যতম অস্ত্র৷ নেত্রীর সুরে সুর মেলাতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে৷ দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ঘর সাজিয়ে ছিলেন তিনি৷ কিন্তু সে এখন অতীত৷ ভেঙেছে সম্পর্ক৷ পৃথক হয়েছে দল৷ তৃণমূলের মুকুল এখন বিজেপির ‘সম্পদ’৷ এবার সেই পুরানো দলের নেত্রীকে বেনজির আক্রমণ করলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগকে ফেক বলে কটাক্ষ মুকুলের৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিঘা সফরে গিয়ে গ্রামে-গ্রামে জনসংযোগ, চায়ের দোকানে চা তৈরি, চকলেট বিলির ঘটনাকে কাঠগড়ায় তুলে মুকুল রায়ের মন্তব্য, ‘‘মানুষের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরলতা পুরোটাই ভুয়ো৷ ফেক৷’’
রাজ্যের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলে মুকুল রায়ের দাবি, ‘‘এই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় ১০০ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে৷ এর পরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নেয়নি৷ বাংলায় এখন গণতন্ত্র নেই৷ এরপর দিঘায় মমতার জনসংযোগ পুরোপুরি লোক দেখানো৷ মিডিয়ার প্রচারে আসার অবলম্বন৷’’
মুকুল রায়ের স্পষ্ট অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে সহনশীলতার পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করছেন৷ বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সমস্ত কৌশল ধরে ফেলেছেন৷ তাঁর মানবিক মুখ মানুষ জানে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক মুখ মানুষ দেখেছে৷ এখন এই সব করে আর লাভ হবে না৷’’
বুধবার দীঘায় প্রশাসনিক বৈঠক শেষ হওয়ার পরই ওড়িশা সীমান্তের দত্তপুর গ্রামে ঢুকে জনসংযোগ করেন মমতা৷ স্থানীয়দের মতামত জানতে চান৷ বাংলার বাড়ি নিয়ে অভিযোগ শোনেন৷ বাংলার বাড়ি প্রকল্প নিয়ে অসন্তোষ শোনার পর আশ্বাস দেন সমস্যা সমাধানের৷ চকলেট বিলি করেন৷ সঙ্গে চায়ের দোকানে ঢুকে নিজে হাতে চা তৈরি করে তা সবাইকে পরিবেশন করেন৷ এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে আলোড়ন ফেলে দিলেও বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়লেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহকর্মী মুকুল রায়৷