কলকাতা: শেষ হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের উৎসব৷ ২৩ মে ফল প্রকাশের অপেক্ষা৷ কিন্তু, তার আগেই দেশ ও বাংলায় গেরুয়া ঝড়ের পূর্বাভাসের বদলে গিয়েছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট৷ পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে মহাজোট গঠনের প্রস্তুতি৷ মহাজোটের মহা সমীকরণ বাধতে আজ বাংলায় আসছেন চন্দ্রবাবু নাইডু৷ দেশের বিজেপির উত্থানের পূর্বাভাস পেতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে আশ্বস্ত করলেন সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব৷
তৃণমূল সূত্রে খবর, আজ দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন অখিলেশ৷ মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি জানান, উত্তর প্রদেশের ভাল ফল করবে মহাজোট৷ গত বারের তুলনায় বাড়বে আসন৷ জনমত সমীক্ষায় ভুল৷ প্রভাব খাটানো হয়েছে৷ উত্তর প্রদেশে সপা-বসপা জোট ৫০টির বেশি আসন পাবে৷ এবার দিল্লির সরকার মহাজোটই গড়বে৷
এক্সিট পোল প্রকাশিত হওয়ার পর চরম বিরোধিতা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘‘এসব গসিপ। আমি বিশ্বাস করি না। বিরোধীদের মনোবল ভাঙতে নরেন্দ্র মোদির গেমপ্ল্যান এটা। পেটোয়া সংবাদমাধ্যমের গড়াপেটা। শেয়ার বাজারকে তোলার জন্য। আসল উদ্দেশ্য, ইভিএম পাল্টে জনমত বদলে দেওয়া। বিরোধী দলের অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। আপনাদের সবাইকে আহ্বান, স্ট্রং রুম পাহারা দিন৷’’
বাংলায় পদ্ম ফোটার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলল একাধিক সংস্থার এক্সিট পোলে৷ একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির ঝুলিতে ন্যূনতম ১১ সর্বাধিক ২২টি আসন আসতে চলেছে। ভোট পরবর্তী এই আগাম ফলাফলে রীতিমতো উৎফুল্ল বঙ্গ বিজেপি।
প্রকৃত ফলপ্রকাশের তিনদিন আগেই এক্সিট পোলের ইঙ্গিতে বিজেপি শিবিরে উৎসব আর উচ্ছ্বাসের হাওয়া। তাবৎ বুথফেরত সমীক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, ফের বিপুলভাবে ক্ষমতায় ফিরছে মোদি সরকার। নরেন্দ্র মোদিই আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। যদি প্রকাশিত এক্সিট পোলের গতিপ্রকৃতি আগামী ২৩ মে প্রকৃত ফলাফলেও প্রতিফলিত হয়, তাহলে প্রমাণিত হবে ২০১৪ সালের মোদি ম্যাজিকে বিন্দুমাত্র চিড় ধরেনি। সিংহভাগ সমীক্ষক সংস্থার ফলেই দেখা যাচ্ছে কয়েকমাস আগে যে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে বিজেপি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে এবং কংগ্রেস সরকার গঠন করেছে, সেই ৩ রাজ্যের ভোটাররাও কিন্তু লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদিকেই বেছে নিয়েছেন।