চোপড়া: ভোট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জেরে ফের উত্তপ্ত হল চোপড়া। শুক্রবার সকালে চোপড়ার মুকদুমি গ্রামে বিবাদকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে এলাকায় বোমা-গুলি চলে বলেও জানা গিয়েছে। এদিনের গোলমালের জেরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের পায়ে গুলি লাগে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
চোপড়ার অশান্তির প্রসঙ্গ তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্পেশাল অবজার্ভার অজয় ভি নায়েক৷ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটের গ্রহণ চলাকালীন নির্বাচন কমিশনের নিয়োজিত স্পেশাল অবজার্ভার জানান, চোপড়ার ঘটনা অরগানাইজ৷ বেশ কয়েকজন মানুষ ওখানে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন৷ প্রশানের তরফে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ তবে, চোপড়ার ঘটনা করা ‘অরগানাইজ’ করল? তা নিয়ে কিছুই বলেননি তিনি৷ তবে, ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণ বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
ভোটপ্রক্রিয়া চলাকালীন উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফিরলে একই দাবি করেন স্পেশাল পুলিশ অবজার্ভার বিবেক দুবে৷ কলকাতায় পা রেখেই স্পেশাল পুলিশ অবজার্ভার সাফ জানিয়ে দিলেন, মোটের উপর স্বাভাবিক দ্বিতীয় দফার ভোট৷ দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া বাকি শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে৷
ভোটগ্রহণে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় চোপড়া৷ ক্ষিপ্ত জনতা বাগে আনতে লাঠচার্জ করতে হয় পুলিশকে শূন্যগুলিও চলে৷ পাল্টা বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে৷ জনতাকে বাগে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়৷ পাল্টা পাথর বৃষ্টিও করা হয়৷
ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার ঘণ্টা খানিকের মধ্যেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় চোপড়া৷ ১৮০ নম্বর বুথে তীব্র উত্তেজনা৷ ভোটারদের মারধরের অভিযোগ শাসকদলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে৷ গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ পুলিশ আধিকারিকদের সামনে ক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা৷ কিছুতেই পরিস্থিনি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে জনতা লক্ষ্য করে বেপরোয়া ভাবে লাঠি চার্জ করে পুলিশ৷ বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়৷ পাল্টা পুলিশকে বাধা দিতে শুরু হয় বোমাবাজি৷ অন্তত তিন চারটি বোমা ফাটানো হয়েছে৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর বৃষ্টির অভিযোগ৷
ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চোপড়া ১৮০ নম্বর বুথ৷ ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের৷ প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ স্থানীয়দের৷ অভিযোগ, তৃণমূলী তাণ্ডবের জেরে ১৮০ নম্বর বুথ থেকে মুচলেকা দিয়ে বেরিয়ে যান বিজেপি এজেন্ট৷ পরে, চোপড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা৷ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই দোকানপাট বন্ধ করে দেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় নেমেছে ব়্যাফ ও বিশাল পুলিশ বাহিনীষ শুরু হয়েছে টহল৷ এদিন পুলিশের সামনেই নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয়রা৷ নির্বাচন আধিকারিক ও পুলিশ কর্তাদের বিক্ষোভ দেখান জনতা৷
এদিন সকালে স্থানীয় মহিলা ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ মহিলাদের মারধরের অভিযোগ চোপড়ায়৷ চোপড়ায় বাইক বাহিনীর তাণ্ডবের অভিযোগ৷ ভোট দিতে যাওয়ায় বাধা৷ মহিলা, বয়স্কদের মারধরের অভিযোগ৷ চোপড়া বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ চোপড়ার দিঘির কলোনির মির্ধা বস্তিতে অশান্তির অভিযোগ৷ ঘটনায় আটক এক তৃণমূল কর্মী৷
ভোট দিয়ে কী হবে? ভোটারদের রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলী বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে৷ ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ স্থানীয়দের৷ চোপড়া বাস-স্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় প্রবল বিক্ষোভ দেন স্থানীয়রা৷ প্রকাশ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তাঁরা৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে ভোট বয়কটের ডাক বাসিন্দাদের৷
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঠিক একই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে না পারলেও এবার নিজের ভোট নিজে দিতে বদ্ধপরিকর চোপড়ার জনতা৷ বৃহস্পতিবার সকালে ভোট শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চোপড়া ১৮০ নম্বর বুথে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ দিয়ে ভোট করানো হলে ফের এলাকায় অশান্তি হতে পারে৷ ফলে, যতক্ষণ মনা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে, ততক্ষণ ভোট গ্রহণ কেন্দ্রেই যাবেন না বাসিন্দারা৷ এদিন প্রকাশ্যে স্থানীয়রা জানান, পুলিশের উপর তাঁদের কোনও আস্থা নেই৷ ফের, ভোট শুরু হলে তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা এসে হামলা চালাতে পারে৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, এদিন সকালে ভোট শুরু হতেই তাণ্ডব শুরু করে দুষ্কৃতীরা৷ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র যেতে ভোটারদের বাঁধা দেওয়া হয়৷ রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় ভোটারদের৷ ভোটারদের উপর মারধরের ঘটনা ছড়িয়ে পড়েই জোট বাঁধেন স্থানীয়রা৷ পাল্টা গড়ে তোলেন প্রতিরোধ৷ জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন৷ পথ অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ স্থানীয়দের শান্ত করানোর চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু, উল্টে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান জনতা৷ পরে, ভোটারদের মারধরের অভিযোগে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা৷ এর পরই শুরু হয় পাথর বৃষ্টি৷