আজ বিকেল: মহানায়িকা সুচিত্রা সেন মৃত্যুর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁর অসম্পূর্ণ কাজের দায়িত্ব তিনি দিদিকেই দিয়ে যান। যে সুচিত্রা সেন উত্তম কুমারের মৃত্যুর পর পুরোপুরি অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন। পরিবারের লোকজন ছাড়া বাইরের কেউই শেষ ৩০ বছর তাঁর দর্শন পাননি। সেই সুচিত্রা কিনা মেয়ে মুনমুনকে দিয়ে মৃত্যুর আগে মমতাকে ডেকে পাঠালেন। আগের দিনি মদন মিত্রকে অর্জুনের গড়ে প্রার্থী করে চমকে দিয়েছিলেন দিদি। শুক্রবার আসানসোলের সভামঞ্চ থেকে ফের এক চমকের পর্দা সরালেন তৃণমূলনেত্রী। এদিন তিনি বলেন, “সুচিত্রা সেন তিরিশ বছর কারও সঙ্গে দেখা করেননি। মৃত্যুর ক’দিন আগে মুনমুনকে তিনি বলেছিলেন, যাও তুমি মমতাকে ডেকে নিয়ে এসো। বলে গিয়েছিলেন মৃত্যুর পর আমার সব কাজ মমতা করবে। ও আমার পরিবারের এক জন।”
এর আগে অবশ্য মুনমুনও মায়ের কথা প্রচারের সময় বলেছেন। গত ৫ এপ্রিল ছিল সুচিত্রার জন্মদিন। সে দিন প্রচারে বেরিয়ে মুনমুন বলেছিলেন, “আজকে আমার মায়ের জন্মদিন। ঘরে না গিয়ে তোমাদের কাছে এসেছি। তোমরা বলো, তৃণমূলকে একটা ভোট দেবে। আমার মায়ের আত্মার শান্তির জন্য জোড়া ফুলকে ভোট দাও। তাঁর মেয়ে এসেছে তোমাদের কাছে। তাঁর নাম রাখতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রাখতে।” এরপর মুনমুন বলেন, “আমার টাকা পয়সার দরকার নেই। যা টাকা পাব, সব দিয়ে দেব তোমাদের কাজের জন্য।”
মিমি নুসরতকে ভোটের ময়দানে এনে এবার মহানায়িকার সঙ্গে তৃণমূলী রাজনীতির মেলবন্ধন ঘটালেন দিদি। আসানসোলের মাটিতে দাঁড়িয়ে সাফ বললেন সুচিত্রা সেন তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ভোট চাইতে গিয়ে তিনি যে মুনমুন সেনকে এভাবে প্রজেক্ট করলেন, তানিয়ে তরজা শুরু হয়েছে।