বহরমপুর : ছেলের আত্মহত্যার পরেও ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন মা। প্রিয় প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরীকে যে জেতাতেই হবে। সেই কারণে ছেলের দেহ সৎকারের আগেই ভোট দেওয়ার জন্য ছুটে যান বুথে। সোমবার সকালেই বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন রজত মার্ডি। তাঁর সৎকার করতে হবে। কিন্তু তার থেকেও জরুরি প্রিয় কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরীকে জেতানো। সেই কারণে রজতের মৃত্যুর পরেও ভোটের লাইনে দাঁড়ান শোকার্ত মা। সোমবার এমনই ছবি ধরা পড়েছিল বহরমপুরের মাজদিয়ায়। এহেন কংগ্রেস সমর্থক রেনুকা মার্ডির সঙ্গে মঙ্গলবার বাড়ি গিয়ে দেখা করছেন স্বয়ং অধীররঞ্জন চৌধুরী। সন্তান হারা রেনুকা মার্ডির পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
মুর্শিদাবাদবাসীরা তাঁকে বলেন রবিনহুড। স্থানীয়রা বলেন, তাঁর কাছে কোনও সমস্যা নিয়ে গেলে চেষ্টা করেন চটজলদি সমাধানের। এমনই এক সমস্যার সমাধান পেয়েছিলেন ২০ বছরের ছেলে রজত মার্ডির সন্তানহারা মা রেনুকা মার্ডি। রেনুকা মার্ডি কথায় অধীর চৌধুরী দেশের সন্তান, তাই তাঁকে জেতনোটা বেশি জরুরি। যদি একটা ভোটেও হেরে যান তাঁর দাদা। তাঁর ছেলের দেহ মর্গে রেখেই ভোট কেন্দ্রে ছুটেছিলেন মা। এহেন ঘটনায় অধীর চৌধুরী নিজেই হতবাক। তাঁর কথায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি ভাগ্যবান। ভোটের সকালে একা অধীর চৌধুরীকে দেখা যায় রাস্তায় নেমে এ বুথ থেকে ও বুথ দৌড়তে। খানিকটা নিঃসঙ্গভাবেই। তবে কি অধীর ম্যাজিক ভেঙে গেল? সোমবার ভোটের সকালে এমনই প্রশ্ন উঠতে থাকে রাজনীতির অলিন্দে। কিন্তু রেনুকা মার্ডির এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় অধীর দুর্গ অক্ষুণ্ণ থাকার নয়া আশা দেখেছেন অনেকই।