আজ বিকেল: ভরাহাটের মাঝখানে জয় শ্রী রাম বলতে বাধ্য করার অভিযোগে একমাস পর অভিুক্তকে পাকড়াও করল পুলিশ। শুধু জয় শ্রী করাম বলতে বাধ্য করাই নয় আক্রান্তকে কান ধরে ওঠবোস ও করানো হয়েছিল। আক্রান্তের নাম আসগর শেখ। ধৃত বিজেপি কর্মী আপসি মিঁঞা, তাকে এদিন আদালতে তোলা হলে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গোটা ঘটনায় বিজেপির মুখ পুড়েছে। কেননা একমাস আগে যখন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে তখন তৃণমূলের দিকে অভিয়োগের আঙুল তুলেছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেত্রী মালতী রাভা।
অভিযোগ, গত ৩০ মে তুফানগঞ্জ মহকুমার ধলপলে কান ধরে ওঠবস করানোর পরে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা হয়েছিল এলাকার বাসিন্দা আসগর শেখকে। সেই ঘটনায় গতকাল পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পর আজ পুলিশ অভিযুক্ত আপসি মিয়াঁকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তও ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বলে জানা গেছে।তৃণমূলের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি এলাকার পরিচিত বিজেপি কর্মী। লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর গোটা এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মারধর, নিগ্রহ করা হয়েছে। গত ৩০ মে তারা চড়াও হয়েছিল আসগরের উপর। তাঁকে কানধরে ওঠবস করানো ও জোর করে জয় শ্রী রাম বলানো হয়। সেই ছবি পরে ভাইরাল হয়ে যায়। তোলপাড় শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।
যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা। তিনি বলেন, যারা একাজ করেছে, তাঁরা সবাই তৃণমূলেরই লোক। বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতেই অভিযোগের তির তাঁদের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি। এমনকী ওই ঘটনায় অভিযুক্তের সঙ্গেও বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানান তিনি। গোটা ঘটনায় প্রকারান্তরে তৃণমূলকেই দুষেছে বিরোধী সিপিএম। বামনেতা সূর্যকান্ত বসুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যেই এই রাজ্যে বিজেপি এত বেড়েছে।