কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী র সঙ্গে বৈঠকে ও সিএএ , এন আরসি বাতিলের দাবি জানালার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জনিকে প্রধানমন্ত্রী কে আবেদন জানিয়েছেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী এদিন বিকেলে কলকাতায় পৌঁছানোর পরেই রাজভবনে তার সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা৷ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ আমি প্রধানমন্ত্রী কে বলেছি সিএএ,এনআরসি নিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন৷ দাবি করেছি সিএএ-এনআরসি বাতিল করা হোক৷’’
পাশাপাশি রাজ্যের আর্থিক দাবি দাওয়া নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘‘বৈঠক খুব ভাল হয়েছে৷ রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ কেন্দ্রের থেকে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা পাই, সে কথা জানিয়েছি৷ রাজ্যের নাম বদল নিয়ে কথা হয়েছে৷ আমি বলেছি, ‘বাংলা’ নামকে সামনে রেখে যদি ওঁরা কোনও প্রস্তাব দেন, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও সমস্যা নেই৷’’ পাশাপাশি মমতা জানিয়েছিলেন, ‘‘বাংলা দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা ব্লক পেয়েছে৷ বীরভূমে দেউচা-পাচামি কয়লা ব্লক অনুমোদন পেয়েছে৷ আমি বলেছি, পুজো মিটলে আপনি আসুন, ভাল করে উদ্বোধন করা হবে৷’’ এরপরই মমতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কথা হয়েছে৷ রাজ্য ও দেশের যাতে ভাল হয়, সে ব্যাপারে কথা হয়েছে৷’’ তবে মমতা এও বলেছিলেন যে এটা কোনও রাজনৈতিক বৈঠক নয়৷ এক সরকারের সঙ্গে আরেক সরকারের আলোচনা৷
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সে সময় মোদীর সঙ্গে মমতার বৈঠককে চরম নিশানা করেছিল বিরোধীরা৷ কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে বাঁচাতেই মোদীর কাছে মমতা গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা৷ এদিকে, সিএএ বিরোধিতায় যখন সোচ্চার মমতা, এমন আবহে মোদীর সঙ্গে তৃণমূলনেত্রীর বৈঠককে একহাত নিয়েছে বাম-কংগ্রেস৷, উল্লেখযোগ্যভাবে এনআরসি নিয়ে সেদিন তাঁদের কোনও কথা হয়নি বলে দাবি করেছেন মমতা৷
এদিকে রাজভবনে যখন মোদী মমতা বৈঠক চলছে৷ তখন রাজভবনের সামনে কালো পতাকা হাতে চলে আসে এক প্রতিবাদী৷ পুলিশ তাকে তারা করে সরিয়ে দেয়৷ এদিন সকাল থেকেই মোদীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে গর্জে উঠেছে কলকাতা৷ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে৷