‘আমাকে হারান দেখি’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অধীরের! বাংলায় জোটের দফারফা

‘আমাকে হারান দেখি’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অধীরের! বাংলায় জোটের দফারফা

নিজস্ব প্রতিনিধি:  পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে জোট যে কার্যত অসম্ভব, সেটা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্যে। পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে চান না তিনি। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী।

 

এদিন মুর্শিদাবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে রীতিমতো চড়া মেজাজে অধীর বলেন,”বহরমপুরে তো হারাবে বলছে, মালদায় হারাবে বলছে। ওপেন চ্যালেঞ্জ করছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে, যে কাউকে এখানে পাঠিয়ে দিন। যদি হারাতে পারেন, রাজনীতি করা ছেড়ে দেব।” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অধীর আরও বলেছেন,”আপনি নিজে আসুন, দেখি কত ক্ষমতা আছে আপনার!”

 

‘ইন্ডিয়া’ জোটে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ ২৮টি অ-বিজেপি দল রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত আসন সমঝোতার কাজ সামান্যতম এগোয়নি। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে জোট হচ্ছে না, এ কথা বলাই যায়। তবে তৃণমূল শিবির বলছে একান্তই আসন যদি ছাড়তে হয় তবে বহরমপুর ও দক্ষিণ মালদা কেন্দ্র তারা কংগ্রেসকে ছাড়তে পারে। এর বেশি আসন পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে ছাড়া যাবে না বলে তৃণমূল নিজেদের অবস্থান বহু আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে। আর তৃণমূলের এই বক্তব্যেই ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

 

এদিন বিষয়টি নিয়ে অধীর সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করে আরও বলেন,”প্রথম দিন থেকেই বলছে দুটোর বেশি দেব না। কে দুটোর দয়া নেবে? আমরা কেউ দয়া চেয়েছি? আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।” এর পাশাপাশি প্রদেশ সভাপতি বলেন, কংগ্রেসের কোনও আগ্রহ নেই তৃণমূলের সঙ্গে জোট করার। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়োজন কংগ্রেসকে। সেই সঙ্গে বলেছেন,”তৃণমূলকে হারিয়ে পরপর দু’বার বহরমপুর, মালদায় জিতেছে কংগ্রেস। বাংলায় দুটি আসন দিয়ে অসম, মেঘালয়, গোয়ায় আসর নিতে চায় তৃণমূল। আপনার দয়া দাক্ষিণ্য নিয়ে কংগ্রেস লড়বে না বাংলায়।”

 

অর্থাৎ রাজ্যে যতই প্রান্তিক শক্তি হয়ে যাক না কেন, কংগ্রেস যতটা পারবে একার শক্তিতেই যে লড়বে সেটা বৃহস্পতিবার ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। তাই পশ্চিমবঙ্গে জোটের যে কার্যত দফারফা হয়ে গিয়েছে, সেটা বলাই যায়। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে শেষ কথা বলবে কংগ্রেস হাইকমান্ড। সেক্ষেত্রে কোনও ‘বড় সিদ্ধান্ত’ হয় কিনা সেটাই দেখার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *