দলের মধ্যেই দল পাকানোর চেষ্টায় অভিষেক? চিন্তা বাড়বে কংগ্রেসের

বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য দিল্লি যাওয়ার পরেই একের পর এক বিরোধী নেতার সঙ্গে বৈঠক করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক…

india alliance government Abhishek Banerjee Congress challenge

বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট

বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য দিল্লি যাওয়ার পরেই একের পর এক বিরোধী নেতার সঙ্গে বৈঠক করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব থেকে আম আদমি পার্টির রাঘব চাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।

এমনকী দিল্লি থেকে বিমানে মুম্বই উড়ে গিয়ে বৈঠক করেছেন শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) নেতা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গেও। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তবে কী তৃণমূল চাইছে বিরোধী নেতৃত্বের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নিতে? সেই লক্ষ্যেই অভিষেকের এই প্রচেষ্টা? যদি সত্যিই তা হয় তাহলে তো বলতে হবে এ এক মারাত্মক প্রবণতা!

‘জিঞ্জার গোষ্ঠী’ গঠন

এভাবে তো বিরোধী জোট ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। রাজনীতির ভাষায় এটিকে বলে ‘জিঞ্জার গোষ্ঠী’ গঠন। অর্থাৎ দলের মধ্যে থেকেই নিজের কর্তৃত্ব কায়েম রাখার জন্য দল পাকানোর চেষ্টা করা। যদিও এখনই এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলার সময় আসেনি। তবে ফল প্রকাশের পর থেকেই অভিষেক যে পদক্ষেপ করছেন তাতে বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই চর্চা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ তথা কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে।

তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট, কংগ্রেস বিরোধী জোটের বৃহত্তম দল হলেও তাদের হাতে রাশ পুরো তুলে দিতে রাজি নয় তৃণমূল। আর সেই কারণেই একাধিক বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করছেন অভিষেক তথা তৃণমূল, এমনটাই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।

ঘটনা হল হেরে গিয়েও যেন জয়ী হয়েছে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট। গত ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর গোটা দেশ জুড়ে কার্যত এমনই প্রেক্ষাপট দেখা গিয়েছে। বিজেপির শক্তিকেন্দ্র উত্তরপ্রদেশে তাদের পিছনে ফেলে দিয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। গুজরাটেও একটি আসন হারাতে হয়েছে বিজেপিকে। বিজেপি উল্লেখযোগ্য ভাবে আসন হারিয়েছে রাজস্থান, কর্ণাটক, হরিয়ানায়। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। সবচেয়ে বড় কথা একার ক্ষমতায় বিজেপি এবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতে পারল না।

বিজেপির পক্ষে স্বস্তিদায়ক?

তাদের ভরসা করতে হচ্ছে জোট শরিকদের উপর। তাঁদের অন্যতম দুই শরিক রয়েছেন যারা হলেন নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডু, যারা মসৃণ ভাবে কতটা এনডিএ জোটে থাকবেন, বা সব ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদিকে সাহায্য করবেন, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন তুলছেন রাজনীতির কারবারিরা। তাঁদের অতীতের ইতিহাস থেকেই এমন প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। যে বিষয়টি বিজেপির পক্ষে একেবারেই স্বস্তিদায়ক কিন্তু হবে না। তাই কেন্দ্রে হ্যাটট্রিক করার পরেও বিজেপিকে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা যায়নি। বলা ভাল কিছুটা নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে তারা।

এই পরিস্থিতিতে প্রথম থেকেই বিজেপিকে চেপে ধরতে চাইছে বিরোধীরা। আর সে ব্যাপারে তৃণমূল চাইছে নেতৃত্বের রাশ ধরে রাখতে, এমনটাই মনে করে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কেউই মুখ খোলেননি। কিন্তু পারিপার্শ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দেখে এই আলোচনা প্রবলভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। তাই আগামী দিনে বিষয়টি কোন দিকে মোড় নেয় এখন সেটাই দেখার।

নিজের গড় ছাড়া অন্যত্র ফ্লপ! দিল্লিতে কী জবাব দেবেন শুভেন্দু?

রাহুলের চোখ দিয়ে রাজনীতি দেখবে ভারতবাসী! নতুন দিন শুরু

মোদীকে নিয়ে তিতিবিরক্ত সংঘ! এবার কী কন্ট্রোলে আসবেন তিনি?

Politics: Abhishek Banerjee Congress challenge. Abhishek Banerjee‘s meetings with opposition leaders raise questions about TMC’s intentions. Is TMC attempting to lead the ‘INDIA’ alliance? This strategy could impact Congress’s influence within the opposition. Central politics is abuzz with speculation.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *