তৃণমূলের দেখানো পথেই আম আদমি পার্টি? নেপথ্যে কি সেই সিবিআই-ইডির চাপ? তুঙ্গে জল্পনা!

তৃণমূলের দেখানো পথেই আম আদমি পার্টি? নেপথ্যে কি সেই সিবিআই-ইডির চাপ? তুঙ্গে জল্পনা!

কলকাতা: দুর্নীতির অভিযোগে আম আদমি পার্টির একাধিক নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিষয়গুলি নিয়ে সরগরম কেন্দ্রীয় রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে আপ নেতৃত্ব জানিয়ে দিলেন পাঞ্জাবে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁরা জোট  করছেন না। পাঞ্জাবের ১৩টি আসনে তাঁরা একাই লড়বেন বলে বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভগবান সিং মান। তাই দিল্লিতেও শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস ও আপ-এর জোট হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল।

ঘটনাচক্রে বুধবারই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে কোনও অবস্থাতেই তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবেন না। ৪২টি আসনে তৃণমূল একাই লড়বে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। এরপরই পশ্চিমবঙ্গের বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করতে শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ‘সেটিং’ আছে বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট ভেস্তে দিতে চাইছেন। ঠিক একই অভিযোগ এবার ধেয়ে আসতে শুরু করল আম আদমি পার্টির দিকেও।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের পাশাপাশি পাঞ্জাব কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হাত থেকে বাঁচতেই কেজরিওয়ালের দলের এই আচরণ। সিবিআই ও ইডি থেকে বাঁচতে, বিজেপিকে খুশি করতেই তাঁরা এমনটা করছেন বলে অভিযোগ করছে। যথারীতি এই অভিযোগ দুটি দলই অস্বীকার করছে। তাঁদের দাবি নিজেদের রাজ্যে বিজেপিকে হারাতে তাঁরা একাই যথেষ্ট।  

এদিকে অভিযোগ রয়েছে যে, মুখে বিজেপি বিরোধিতার কথা বললেও বিগত কয়েক বছরে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় কেন্দ্রের একাধিক বিল পাশের সময় কক্ষ ত্যাগ করে তৃণমূল ও আম পার্টির সাংসদরা কার্যত পরোক্ষে বিজেপিকে সুবিধা করে দিয়েছেন। আসলে এই দুটি দল বিজেপির হয়েই কাজ করছে, এমন অভিযোগ বহুদিন ধরেই করছেন পশ্চিমবঙ্গের বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের পাশাপাশি দিল্লি-পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই জায়গা থেকে আম আদমি পার্টি ও তৃণমূল যেভাবে একা লড়ার কথা ঘোষণা করল ‘ইন্ডিয়া’ জোটে থেকেও, তাতে সেই অভিযোগ কি মান্যতা পেয়ে গেল? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে।

যথারীতি গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপি কটাক্ষ করতে শুরু করেছে এই দুটি দলকে। তবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আপ ও তৃণমূলের এমন সিদ্ধান্তের যথেষ্ট প্রভাব পড়বে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে। এই আবহের মধ্যে বাকি রাজ্যগুলিতে জোট কার্যকরী হয় কিনা সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *