কাঁথি: শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা রক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় একই সপ্তাহে তিন তিনবার শান্তিকুঞ্জের চৌকাঠে হানা দিল সিআইডি৷ সোমবার, বুধবারের পর ফের শনিবার দুপুরে কাঁথির কুরকুলি এলাকায় পৌঁছান সিআইডির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল৷ বাইরে থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির ভিডিওগ্রাফি করেন গোয়েন্দারা৷ উলটো দিকে থাকা পুলিশ ব্যারাকে যান৷ সেখানে এখনও পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন গোয়েন্দারা৷
স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারি নিয়ে জল্পনা বাড়ছে৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, বারবার শুভেন্দুর বাড়ির সামনে রাজ্যের গোয়েন্দাদের পাঠিয়ে আদতে কি তাঁর স্নায়ুর চাপ বাড়াতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ যদিও শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কাঁথির বিজেপি নেতা কনিষ্ক পণ্ডার দাবি, ‘‘প্রতিহিংসার রাজনীতি তো দাদার ওপর চলছে বাম আমল থেকেই৷ এটা নতুন কিছু নয়৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাস, প্রতিহিংসার নিরিখে তৃণমূল সিপিএমকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে৷’’
২০১৮ সালের অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃতু হয় শুভেন্দু অধিকারীর তৎকালীন নিরাপত্তা রক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর৷ শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী সম্প্রতি কাঁথি থানায় স্বামীর মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের করেছেনন। তাতে সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ১২০ (বি) ধারায় খুনের অভিযোগে মামলার রুজু করে পুলিশ৷ তদন্তে নেমেই দফায় দফায় অধিকারী পরিবারের বাড়িতে হানা দিচ্ছেন গোয়েন্দারা৷ এর আগে তাঁরা শুভেন্দুকে না পেয়ে তাঁর ভাই তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে জেরা করেছিলেন৷ এদিন আবার শান্তিকুঞ্জের ভিডিও গ্রাফিও করতে দেখা যায় গোয়েন্দাদের৷
রাজনৈতিক মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, শুধু শুভব্রত নয়৷ কাঁথির ত্রিপল চুরি কাণ্ড থেকে শুরু করে দুই ব্যাংকের একাধিক সমবায়ে বেনিয়মের অভিযোগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ স্বাভাবিকভাবেই অধিকারী পরিবারের স্নায়ুর চাপ বাড়াতে পরিকল্পিতভাবেই রাজ্য সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে দাবি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শিবিরের৷