Aajbikel

ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হতে চলেছে তৃণমূলের? নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূল ছাড়তেই জল্পনা তুঙ্গে

 | 
তৃণমূল

 

নিজস্ব প্রতিনিধি:  পুরুলিয়া তৃণমূলে ভাঙন। বৃহস্পতিবার দল ছাড়লেন তৃণমূলের এক কাউন্সিলর। আর তাতেই পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হতে পারে। সেই সম্ভাবনা যথেষ্ট রয়েছে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। সেক্ষেত্রে ঝালদা পুরসভা চলে যেতে পারে কংগ্রেসের দখলে। বৃহস্পতিবার ঝালদা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় দল ছেড়েছেন। আর তাতেই পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে তৃণমূল। ঝালদা পুরসভায় বারোটি ওয়ার্ড রয়েছে। বোর্ড গঠন করতে হলে অন্তত পক্ষে সাতটি আসন পেতে হবে। কিন্তু তৃণমূলের আসন এবার কমে হল পাঁচ। অন্যদিকে কংগ্রেসের দখলে রয়েছে পাঁচটি আসন। এছাড়া রয়েছেন দুই নির্দল কাউন্সিলর। সূত্রের খবর, শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুরসভার চেয়ারপার্সন করে নির্দলের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস।

ঝালদা পুরভোটের ফলে কংগ্রেস এবং তৃণমূল দুটি দলই পাঁচটি করে আসনে জেতে। দুটিতে জয় পান নির্দল প্রার্থী। এরপর নির্দল কাউন্সিলর হিসেবে জয় পাওয়া শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগদান করেন। তাতে তৃণমূলের আসন বেড়ে হয় ছয়। সেই সময় বোর্ড গঠন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। তখন খুন হয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। যদিও পরবর্তীকালে ওই ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে তপনের ভাইপো মিঠুন কান্দু কংগ্রেসের টিকিটেই জয় পান। এর আগে অপর নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকারের সমর্থনে তৃণমূল বোর্ড গঠন করে। যদিও পরে সোমনাথকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। একটা সময় বহিষ্কৃত সোমনাথ এবং কংগ্রেসের পাঁচ কাউন্সিলর তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ডাক দেন। আর অনাস্থা প্রস্তাবে জয় পাওয়ার লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। তখনই বোঝা যায় তিনি দল ছাড়তে চলেছেন। অবশেষে তৃণমূলের উদ্বেগ বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার দল ছাড়লেন তিনি। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়াকে হোয়াটস অ্যাপে দলত্যাগের কথা জানিয়েছেন শীলা। কেন তিনি ইস্তফা দিলেন তা খতিয়ে দেখছে দল। তবে জেলা তৃণমূল এই ব্যাপারে নিশ্চিত যে পুরসভার চেয়ারপার্সন হওয়ার জন্যেই এই পদক্ষেপ করেছেন শীলা।

এই অবস্থায় পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো দাবি করেছেন ঝালদা পুরসভায় তৃণমূল সংখ্যালঘু হয়ে গিয়েছে। অবিলম্বে পুরপ্রধানের ইস্তফার দাবি করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে নেপাল জানিয়েছেন ঝালদায় শীঘ্রই বড় চমক দেখা যাবে। সব মিলিয়ে এটা স্পষ্ট ঝালদা পুরসভা তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে চলেছে কংগ্রেস।‌ নেপাল মাহাতো সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন। আর সেটা আঁচ করতে পেরেই শেষরক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। তবে পরিস্থিতি বলছে ঝালদা পুরসভায় তৃণমূলের ক্ষমতা হারানো কার্যত সময়ের অপেক্ষা।

Around The Web

Trending News

You May like