Aajbikel

কয়লা-কাণ্ডে শুভেন্দুর তিরে কোন প্রভাবশালী? নাম না করে কাকে ইঙ্গিত? নাম বলুন, পাল্টা চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের!

 | 
শুভেন্দু

নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়লা পাচার, গরু পাচার, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীরা নিয়মিত তৃণমূলকে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ এনে কয়লা কাণ্ডে এক প্রভাবশালীর কথা তুলে ধরলেন। শুভেন্দুর দাবি, ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ১ হাজার কোটি টাকা গিয়েছে। তবে কারও নাম না করলেও শুভেন্দুর ইঙ্গিত যে তৃণমূলের এক অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তির দিকেই, তা স্পষ্ট।

শুভেন্দু রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, ''কয়লা পাচার কাণ্ডে দুর্নীতির মোট অঙ্ক ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। গুরুপদ মাঝির নাম চার্জশিটে উল্লেখ আছে। তার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা রাজ্যের প্রভাবশালী এক রাজনীতিকের কাছে গিয়েছে। যিনি এই রাজ্যে কার্যত প্রশাসন, পুলিশ ও শাসকদলকে নিয়ন্ত্রণ করেন। কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় র‍্যাকেট যুক্ত আছে। সেই র‍্যাকেটে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকেরা যুক্ত আছে। ১২ ডিসেম্বর মামলা সুপ্রিম কোর্টে নির্দিষ্ট হয়েছে, সেই কারণে আমি ডিটেলস তথ্য-প্রমাণ আপনাদের কাছে বলছি না। এই মামলার মূল লাভবান যিনি, ১ হাজার কোটি টাকা তাঁর লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে গিয়েছে।" সেই সঙ্গে শুভেন্দু বলেছেন, মামলা থাকার কারণেই তিনি কোনও নাম বলছেন না। তবে চার্জশিটে কোন কোন পাতায় ওই প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে বলা হয়েছে সেই পাতাগুলির নম্বর তিনি জানিয়েছেন। সেই সূত্রে চার্জশিটের ৪৪৪, ৪০০ ও ৬৮ নম্বরের পাতাগুলি দেখতে বলেছেন শুভেন্দু।

স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের অন্দরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই ইস্যুতে শুভেন্দুকে নিশানা করে বলেছেন, "বাপ কা ব্যাটা হলে নাম বলুন। নাম বলুন, তারপর মানহানির মামলার জন্য তৈরি থাকুন। নাকি সাহস নেই?"

সবমিলিয়ে শুভেন্দু যে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তাতে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব নিঃসন্দেহে অন্য মাত্রা নিল। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন একটাই, যদি শুভেন্দুর হাতে সত্যিই নিশ্চিত তথ্য প্রমাণ থাকে, তবে তিনি সরাসরি সুনির্দিষ্ট ভাবে সেই অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজনীতিকের নাম করছেন না কেন? তবে কি বিষয়টি নিয়ে তিনিও কিছুটা দ্বিধায় রয়েছেন? শুভেন্দুর ইঙ্গিত যে তৃণমূলের এক প্রভাবশালীর দিকে, সেটা সকলেই বুঝতে পারছেন। কিন্তু তিনি যেহেতু কারও নাম করেননি, সেই কারণে তৃণমূল পাল্টা চ্যালেঞ্জ করছে শুভেন্দুকে। সবমিলিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত এই সাংবাদিক সম্মেলনের পর থেকে আরও বহু গুণে বেড়ে গেল। তবে লক্ষ্যণীয়ভাবে রাজ্য বিজেপির অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আর শুভেন্দুর এই বিস্ফোরক অভিযোগের পর রাজ্য রাজনীতিতে আগামী দিনে বড় কোনও চমক দেখা যায় কিনা এখন তারই অপেক্ষা।

Around The Web

Trending News

You May like