ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্ত থেকে লালন শেখ, ‘হেফাজতে’ একাধিক মৃত্যু! কিন্তু এই মৃত্যুর দায় কার?

ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্ত থেকে লালন শেখ, ‘হেফাজতে’ একাধিক মৃত্যু! কিন্তু এই মৃত্যুর দায় কার?

 

কলকাতা: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর পর দফায় দফায় উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলছে বিক্ষোভ। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে সরব হয়েছে লালনের পরিবার। লালন শেখের স্ত্রীর অভিযোগ, জিভ কাটা ছিল লালনের। এমনকী পায়েও রক্ত জমাট বাধা ছিল। পরিবারের তরফে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।  যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।  কিন্তু, শুধু লালন নয়, এর আগেও হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে একাধিক অভিযুক্তর৷ ঘটনার প্রতিবাদে সময়ে সময়ে উত্তাল হয়েছে বাংলা৷ ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভের আগুন। প্রতিবেদনে দেখে নেওয়া যাক অতীতের সেই সব ঘটনা-

১৮ জানুয়ারি, ২০১৩, হুগলীর ধনেখালিতে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল কাজী নাসিরুদ্দিনের। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলা।   ২ এপ্রিল, ২০১৩, পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তর।১৬ মার্চ, ২০১৪, ঠাকুরপুকুরে থানার লক-আপে গুড্ডু সিংয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ১৫ জুলাই, ২০১৪, হাওড়ার বালিতে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল প্রোমোটার বিমান উপাধ্যায়ের। ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছিল অস্ত্র আইনে ধৃত ভূষণ দেশমুখের। ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, সিঁথিতে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউয়ের। ১৬ মার্চ, ২০২০, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগ্রামে বিএসএফ হেফাজতে থাকাকালীন যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বর্ডার পোস্ট থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। ২০ মে, ২০২১, হুগলীর পোলবায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় চুরির অভিযোগে ধৃত যুবকের। ৬ জুলাই, ২০২১, কুলটির বরাকরে পুলিশি হেফাজতে ২১ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রতিবাদে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বরাকর। পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর শুরু হয়। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় স্থানীয়রা। ঘটনার জন্য পাঁচ জন পুলিশ আধিকারিক ও পাঁচ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে সাসপেন্ড করেন আসানসোলের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর।

কিন্তু, এরপরেও বদলায়নি পরিস্থিতি। আবারও হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যুর ঘটনা। কবে থামবে এই মৃত্যুমিছিল? সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *