গরু পাচার ইস্যুতে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, হাসিনার বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ

গরু পাচার ইস্যুতে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, হাসিনার বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ

6648e43985ae13f78abda20aceb18f1f

নিজস্ব প্রতিনিধি: গরু পাচার কাণ্ড নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর পুরো বিষয়টি সম্পূর্ণ অন্য মাত্রা পেয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূলের মদতেই এতদিন ধরে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবাধে গরু পাচার হয়ে আসছে। পাল্টা তৃণমূলের দাবি সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে আছে বিএসএফ, যা‌ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে রয়েছে। এই চাপানউতোর পর্বের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন- গরু পাচার কাণ্ডে সিআইডি’র জালে এনামুল ঘনিষ্ঠ জেনারুল, CID তৎপরতায় জল্পনা তুঙ্গে

ভারত সফরে আসার আগে একটি সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তাঁর মুখে উঠে এসেছে গরু পাচারের প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সংবাদ সংস্থার কাছে বিষয়টি নিয়ে বলেন, ভারত থেকে আসা গরুর উপর বাংলাদেশ সরকার নির্ভর করে না। বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন,” অবিলম্বে গরু পাচার বন্ধ করতে হবে। গরু পাচার যে বন্ধ হবে সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। আমি আলোচনা করব, তবে ভারতকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে।” উল্লেখ্য হাসিনার নয়াদিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। তার আগে যেভাবে তিনি গরু পাচার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তা অত্যন্ত  তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে গরু পাচারের ঘটনা নিয়ে সরগরম বাংলার রাজনীতি। ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার কীভাবে হচ্ছে তা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের চাপানউতোর অব্যাহত। এই অবস্থায় হাসিনা বলেছেন, “ভারতের গরুর উপর আমরা নির্ভর করি না। আমাদের নিজস্ব গরু রয়েছে। বাংলাদেশে গরুর জোগান বাড়ানো হচ্ছে। দেশ আর্থিক ভাবে যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে, তার জন্য এটা জরুরি”। তবে বাংলাদেশ সীমান্তে যে গরু পাচার হচ্ছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সীমান্তে গরু পাচার আগের চেয়ে কমেছে। তবু কিছু  বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে, যা বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিজেদের  মধ্যে আলোচনা করছে”। 

  

এর আগে এভাবে কোনও দিন গরু পাচার কাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে কথা বলতে শোনা যায়নি। তাই এটা স্পষ্ট পশ্চিমবঙ্গে গরু পাচার নিয়ে যেভাবে শোরগোল পড়ে গিয়েছে, তার অভিঘাত গিয়ে পড়েছে পড়শি দেশেও। অর্থাৎ বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত এবং বাংলাদেশ দুটি দেশই। বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এখন গরু পাচার কিছুটা হলেও কমেছে। কারণ দুটি দেশই গরু পাচার আটকাতে এখন অনেক বেশি তৎপর হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরু পাচার নিয়ে যেভাবে মুখ খুলেছেন তাতে আগামী দিনে সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার পাকাপাকিভাবে বন্ধ হবে, এই আশা অনেকেই করছেন। সেটা কতটা বাস্তবায়িত হয় সেদিকেই চোখ থাকবে সবার।