কলকাতা: উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটদান থেকে বিরত থাকবে তাঁরা, এমনটাই জানান হয়েছে দলের তরফে। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এই নিয়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের মাঝে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে এসে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই তাঁরা জানান এই সিদ্ধান্তের কথা। সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে যে, জেনেশুনে কি তাহলে বিজেপি তথা এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনকড়কে ‘ওয়াকওভার’ দিয়ে দিল মমতার দল?
আরও পড়ুন: পাল্লা ভারী দ্রৌপদীর, যশবন্ত কি টেক্কা দিতে পারবেন? আজ ফল
উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার নিয়ে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, জগদীপ ধনকড় বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন যেভাবে প্রতি পদে বাংলার মানুষের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করেছেন, যেভাবে নির্দিষ্ট একটি দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন, তাতে তাঁকে কোনও ভাবেই সমর্থন করতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তাঁকে ভোট দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। অন্যদিকে, বিরোধী প্রার্থী মারগারেট আলভাকেও তাঁরা সমর্থন করবে না। কারণ, বিরোধীরা তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রার্থী নির্বাচন করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে জানানোর চেষ্টা হয়েছে। তাই এই প্রার্থীকে তাঁরা ভোট দেবেন না।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রথম থেকেই পিছিয়ে ছিলেন বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। এনডিএ এমন প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল যে তাঁর বিরুদ্ধে যশবন্ত সেইভাবে টিকতে পারেননি। এই নির্বাচনে অবশ্য তৃণমূল সহ সব বিরোধী ভোট দিয়েছিল তাতেও এই পরিস্থিতি। আর এবার দেখা যাচ্ছে, উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকেই বিরত থাকছে তৃণমূল। তাহলে তো বিজেপির পক্ষে বিষয়টি আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে। এইভাবে তৃণমূলের থেকে ‘ওয়াকওভার’ তাঁরা পাবে এটা নিজেরাও হয়তো ভাবেনি। উল্লেখ্য, অভিষেক আজ জানান, কালীঘাটের বৈঠকে সব সাংসদ উপস্থিত থাকতে না পারলেও অধিকাংশ ছিলেন। প্রত্যেকের বক্তব্য শোনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবার মত শোনার পর দেখা যায় উপস্থিত সাংসদদের ৮৫ শতাংশ চাইছেন ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে।