Aajbikel

পার্থ-মানিককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি? 'মানিকজোড়'কে মুখোমুখি বসালে মিলতে পারে বহু তথ্য

 | 
পার্থ মানিক

নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড যেন পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে।  কোথায় এর শেষ তা কারও জানা নেই। এই আবহের মধ্যে ইডি গ্রেফতার করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। এরপরই আনন্দে মেতে উঠেছেন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি অবিলম্বে সকলকে চাকরির নিয়োগপত্র দিতে হবে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে আর তথ্যের হদিস পেতে চান। সেক্ষেত্রে তাঁরা চাইছেন মানিক ভট্টাচার্য এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে। ইডি সূত্রে এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে ইডিকে।

ইডি আধিকারিকদের দাবি পার্থ এবং মানিকের মধ্যে বহুদিন ধরেই সুন্দর বোঝাপড়া রয়েছে। একই রাজনৈতিক দলে থাকার পাশাপাশি তাঁদের মধ্যে নিবিড় বন্ধুত্ব রয়েছে বহু বছর ধরে। তাঁরা একে অপরকে তুই তোকারি করে সম্বোধন করে থাকেন। অর্থাৎ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁদের 'মানিকজোড়' হিসেবেই দেখছে ইডি। এই জুটির অঙ্গুলিহেলনেই লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে বলে ইডি মনে করছে। উল্লেখ্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার সময় ইডি দাবি করেছিল গ্রেফতার করার সময় পার্থর যে স্মার্টফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সেখানে মানিকের নাম 'মানিক ভট্টাচার্য ল' বলে সেভ করা রয়েছে। এই দুই নম্বরে বহু বার্তা বিনিময় করা হয়েছিল। ইডির দাবি, ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রাইমারি টেটের ইন্টারভিউয়ের ব্যাপারে মেসেজ করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেখানে লিখেছিলেন, দশ মিনিট দিস কাল বাড়ি যাব। জবাবে পার্থ লিখেছিলেন 'ওকে'। তদন্তকারীদের দাবি এভাবেই নিয়মিত শলাপরামর্শ করে বৃহৎ ষড়যন্ত্র চলত। আর তার ফলেই যোগ্য প্রার্থীরা আজ চাকরি না পেয়ে রাস্তায় আন্দোলন করছেন। উল্লেখ্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে তখন পার্থ ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। আর মানিক ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান। অর্থাৎ এই দুর্নীতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে রয়েছেন 'মানিকজোড়'।

এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা মনে করছেন তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসবে। তবে তা আদালতের অনুমতি ছাড়া সম্ভব নয়। কারণ বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন পার্থ। উল্টোদিকে ইডি হেফাজতে রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। তাই আদালতের অনুমতি ছাড়া পার্থকে পুনরায় নিজেদের হেফাজতে নিতে পারবে না ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তকারীরা আইনি দিক নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন। সেই মতোই ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। আর সেটা যদি সত্যিই সম্ভব হয় তাহলে এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Around The Web

Trending News

You May like