দেবময় ঘোষ: বগটুই কাণ্ডের পর ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলার ১৭ জন বিজেপি সাংসদ। এবার, সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখোমুখি বসছেন তাঁরা। নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। গণহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কী হতে পারে স্ট্রাটেজি – তা আলোচনা হওয়ার সম্ভবনা’ই প্রবল।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রাতরাশ সারবেন সাংসদরা। বাংলার সাংসদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই এই বৈঠক চূড়ান্ত হয়েছে। পূর্বে শোনা গিয়েছিল এই বৈঠক হবে বুধবার। তবে, আপাতত তা বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত হয়েছে। রাজ্যে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি সাংসদরা। সংসদের ভিতরে রাজ্যের সাংসদরা সরব হয়েছেন। বাংলার পরিস্থিতি কতটা জটিল, তা বোঝানোর চেষ্ট করেছেন প্রতিপদে। সাংসদরা সংসদে গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তবে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাননি তাঁরা।
বৃহস্পতিবারের বৈঠক মূলত বগটুই কাণ্ডকে ঘিরেই আবর্তিত হবে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বগটুই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন বিজেপি সাংসদরা। মোদির মুখ থেকে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে কিছু নিন্দা মন্তব্য আশা করছেন বিজেপি সাংসদরা। এক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসনের উপর চাপ বাড়ানো যায়, এবং জনতার দৃষ্টি আকর্ষণও করা যায়। মোদির সঙ্গে দেখা করে নালিশ জানানো হবে তারই একটি পদক্ষেপ।ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন। আবার এটিও সত্যি যে, রাজ্যপাল ধনখড়কে নিয়ে তাঁদের অভিযোগ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর সুযোগ পেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা।
তবে, বগটুই কাণ্ডই নয় এবং পাঁচজন বিজেপি বিধায়ককে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে জানাবেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার’রা। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুধুই নালিশ নয়, একই সঙ্গে তাঁর পরামর্শও নেবেন। বিজেপি সূত্রে খবর, বৈঠকে উঠে আসবে সিএএ প্রসঙ্গও। রাজ্যে সিএএ লাগু করার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে ফের স্মরণ করিয়ে দিতে চায় বিজেপি।