কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে বিজেপি চেষ্টার ত্রুটি রাখতে চায় না। প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের অনেক মানুষ এই রাজ্যে বসবাস করেন। সেই কারণে, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে প্রচার চালিয়ে যাওয়ার জন্য ওই রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী – অর্জুন মুন্ডা, রঘুবর দাস এবং বাবুলাল মরান্দিকে কাজে লাগান হবে। তার সাথে ঝাড়খণ্ডের দলীয় কর্মীদেরও এই রাজ্যে প্রচারে নিয়ে আসা হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, যিনি ঝাড়খণ্ডের বাংলাভাষী অঞ্চলের বাসিন্দা, ইতিমধ্যে বাংলায় সভা করছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস এবং বাবুলাল মরান্দিকেও শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গে পদক্ষেপে দেখা যাবে। মরান্দি ইতিমধ্যে কয়েক দফায় বাংলায় সফর করেছেন।
বাংলার অনেক এলাকা ঝাড়খণ্ডকে সংযুক্ত করে। রাঁচি জেলার সীমানা স্পর্শ করে বাংলার পুরলিয়া জেলা। এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের সাথে সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে। ধানবাদ, নীরসা এবং বাংলার নিকটবর্তী কয়েকটি জায়গায়, বিজেপির শক্ত সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে। জামশেদপুরের বেহরাগোড়া, যেখানে রঘুবর দাসের বাসিন্দা, বাংলার খুব কাছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, কিছুদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলে গিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গঠন করবেই। এটা নিশ্চিত। এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বাঙালি। এই বাংলায় জন্মেছেন। বাংলায় কথা বলেন – জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপি ক্ষমতায় এলে অবাঙালিরাই মুখ্য চরিত্রে থাকবেন – এমন ধারণাকে নস্যাৎ করে অমিত শাহ বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী কে হতে পারেন তা সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপির সংসদীয় কমিটি। সেই সিদ্ধান্ত এখনই নয়। তবে বাঙালি হবেন, বাংলার ভূমিপুত্র হবেন তা নিশ্চিত। কলকাতায় এসে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলার নির্বাচনে ‘বহিরাগত’ তত্ত্বের খুব চর্চা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি বিজেপি বহিরাগত। বাঙালিদের পার্টি নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জবাব দিয়ে বলেছেন, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু কংগ্রেস সভাপতি হয়েছিলেন। বাংলার বাইরে থেকে কেউ এলে কিভাবে বহিরাগত হয়। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বিজেপি প্রচার করিয়ে বহিরাগত ইস্যুতে তৃণমূলকে জবাব দিতে চেষ্টা করেছে।