জানেন কি, বালাকোট হামলার নেতৃত্বে ছিলেন এই মহিলা অফিসার

নয়াদিল্লি: বালাকোট হামলার পর এই প্রথম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন, বালাকোট বিমান হামলার অন্যতম যোদ্ধা বীর মিনতি আগরওয়াল৷ আইএএফ স্কোয়াড্রন নেত্রী এই প্রথম জানালেন বালাকোট বিমান হামলার সেই অভিজ্ঞতার কথা৷ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইএএফ স্কোয়াড্রন নেত্রী মিনতি আগরওয়াল জানিয়েছেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা বালাকোটে অসামরিক শিবিরগুলিতে সফলভাবে মিশন শেষ করে এসেছি৷ পুলওয়ামা হামলার প্রতিশোধ

জানেন কি, বালাকোট হামলার নেতৃত্বে ছিলেন এই মহিলা অফিসার

নয়াদিল্লি: বালাকোট হামলার পর এই প্রথম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন, বালাকোট বিমান হামলার অন্যতম যোদ্ধা বীর মিনতি আগরওয়াল৷ আইএএফ স্কোয়াড্রন নেত্রী এই প্রথম জানালেন বালাকোট বিমান হামলার সেই অভিজ্ঞতার কথা৷

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইএএফ স্কোয়াড্রন নেত্রী মিনতি আগরওয়াল জানিয়েছেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা বালাকোটে অসামরিক শিবিরগুলিতে সফলভাবে মিশন শেষ করে এসেছি৷ পুলওয়ামা হামলার প্রতিশোধ নিতে আমরা প্রত্যাশা করছিলাম৷ আমরা প্রস্তুত ছিলাম৷ মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান পাল্টা আক্রমণ করেছিল৷

তিনি আরও জানিয়েছেন, আমারা কয়েকটি বিমানকে জরুরি ভিত্তিতে তৈরি রেখেছিলাম৷ সেগুলি প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহার করা হয়৷ আমরা পাক বিমান মোকাবিলার জন্য অতিরিক্ত বিমান প্রস্তুত করে রেখেছিলাম৷ আমাদের বিমান বালাকোটের জঙ্গি শিবির ধ্বংস করে ফিরে আসে৷ আমাদের পাইলট দলের দক্ষতার কারণে মিশন সফল হয়৷

এফ ১৬ উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে অভিবাদ জানিয়ে মিনতি জানান, আমরা পাল্টা হামলার জন্য অভিনন্দকে প্রস্তুত থাকতে বলেছিলাম৷ মিশন সফল হওয়ার পর পাল্টা হামলার আশঙ্কা আগেই ছিল৷ যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল৷ পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রেখেছিলাম৷ এখানে শত্রুদের একাধিক বিমান হামলা জন্য পাঠানো হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে৷

২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায়া জাবা গ্রামে জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়ে আসে ভারতীয় সেনা৷ সেই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মিনতি আগরওয়াল৷ বালাকোট হামলার পর রাজনীতির ময়দানে ঝড় ওঠার পর মিনতি আগরওয়ালের অভিজ্ঞতা সেই বিতর্কে জল ঢালল বলেই মত পর্যবেক্ষক মহলের৷

পাকিস্তানের চোখে ধুলো দিতে পাক জলসীমা বরাবর সক্রিয়তা দেখাতে শুরু করে ভারতীয় নৌবাহিনী৷ সাধারণ ডুবোজাহাজের পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্রবাহী ডুবোজাহাজ পাক জলসীমা মোতায়েন করা হয়৷ ভারতীয় নৌবাহিনীর এই সক্রিয়তা দেখে পাকিস্তান ভেবে নেয় পুলওয়ামার হামলায় পর প্রতিশোধ নিতে জলপথে আক্রমণ করতে পারে ভারত৷ সেই ভাবে পাকিস্তানও প্রস্তুতি নিতে শুরু করে৷ জলপথের উপর পাকিস্তান নজর বাড়াতে শুরু করতেই বালাকোটের জয়েশ জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইক চালায়৷ বালাকোট হামলার পরই পাকিস্তানের একটি ডুবোজাহাজ হঠাৎ উধাও হয়ে যায়৷ রহস্যজনক ভাবে ডুবোজাহাজ উধাও হয়ে যাওয়ার ভারতীয় নৌবাহিনীকে সক্রিয় হতে বাধ্য করে৷ ওই নিখোঁজ পাক ডুবোজাহাজটিকে খুঁজে বের করতে বিশেষ অ্যান্টি-সাবমেরিন রণতরী ও যুদ্ধবিমানগুলিকে কাজে লাগানো হয়৷ লাগাতার খোঁজাখুঁজির পর ২১ দিন পর পাকিস্তানের পশ্চিমে খোঁজ মেলে৷ অনুমান, গোপনে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল ইসলামাবাদ৷ তাই সেটিকে চোখের আড়ালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 + 16 =