লখনউ: বাংলার পর উত্তরপ্রদেশেও গেরুয়া বাহিনীর বিজয় রথের চাকা জয়ের পথে গড়াল না৷ বাংলা জয়ের স্বপ্ন ফেরি করার অন্যতম কাণ্ডারি যোগী আদিত্যনাথ নিজের গড় বাঁচাতেই ব্যর্থ৷ উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র বারাণসীতেই ধরাশায়ী অবস্থা হল বিজেপির। শুধু বারাণসী নয়, রামলালার জন্মভূমি অযোধ্য়াতে পঞ্চায়েত ভোটে পদ্ম ফোটাতে ব্যর্থ বিজেপি৷ উত্তরপ্রদেশের আরও এক ধর্মীয় স্থান মথুরাতেও মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। ২০২২ সালেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল সব পক্ষেরই মহড়া৷ আর তাতেই বিজেপির ধরাশায়ী হওয়াটা ইঙ্গিতবহ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷
চার দফায় উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয় গত ২৯ এপ্রিল। গ্রাম পঞ্চায়েত, গ্রাম প্রধান, ব্লক পঞ্চায়েত ও জেলা পঞ্চায়েত এই চারটি বিভাগে নির্বাচন হয়। উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটে দলের প্রতীক নিয়ে লড়তে পারেন না প্রার্থীরা। তবে সব দলই তাদের সমর্থন দিয়ে প্রার্থী দাঁড় করায়। প্রার্থীদের হয়ে জোর কদমে প্রচারও করে দলগুলি। এরপরও বিজেপির সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছে অযোধ্যা ও বারাণসীতে। অযোধ্যায় ৪০টি জেলা পঞ্চায়েত আসনের মধ্য়ে মাত্র ৬টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি৷ অযোধ্যায় ২৪টি আসনে সমাজবাদী পার্টি জয়ী হয়েছে। এই অযোধ্য়াতেই রামমন্দির তৈরি ছিল বিজেপির অন্যতম লক্ষ্য। গত বছর সেই মন্দিরের ভূমি পুজো হয়েছে। অযোধ্যায় ৫টি আসনে জয়ী হয়েছে বহুজন সমাজবাদী পার্টি।
নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী। বারাণসী জেলা পঞ্চায়েত আসনে ৪০টির মধ্যে মাত্র ৭টিতে জয়ী হয়েছে গোরুয়া শিবির। ১৫টি আসন পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি। মথুরায় মাত্র ৩টি জেলা পঞ্চায়েত আসন পেয়েছে পদ্ম ব্রিগেড। উত্তরপ্রদেশে জেলা পঞ্চায়েত স্তরে মোট ৩ হাজার ৫০ আসনে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৯১৮টি আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের জেলা পঞ্চায়েতে বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টি ছাড়া আম আদমি পার্টিও ভালো ফল করেছে বলে দাবি।