নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিত্ব আইনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করার অপরাধে নাম ঠিকানা ও ছবি দিয়ে লখনউয়ের রাস্তায় পোস্টার লাগিয়েছিল। এর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। যত দ্রুত সম্ভব সেই পোস্টার খুলে ফেলতে হবে। সেই রায়কে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল উত্তর প্রদেশ সরকার। সেখানেও মুখ পুড়ল যোগী সরকারের। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট।
সিএএ বিরোধীদের নাম ঠিকানা সহ পোস্টার লাগিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। যোগী সরকারের এই কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে মামলা করা হয়। হাইকোর্ট যত দ্রুত সম্ভব এই পোস্টার খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই রায়কে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। এলাহাবাদ কোর্টের মতো সুপ্রিম কোর্ট চড়া সুরে এদিন বলে, অভিযক্তদের ছবি, নাম, ঠিকানা দিয়ে পোস্টার দেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের উদ্বেগের কথা সুপ্রিম কোর্ট বুঝতে পারছে। কিন্তু তার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে কখনই আইনি সহায়তা পাওয়া যাবে না বলে বিচারপতি ইউইউ ললিত ও অনিরুদ্ধ বোসের একটি বেঞ্চ জানিয়েছে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের পর মঙ্গলবার যোগী আদিত্যনাথের মিডিয়া উপদেষ্টা মণি ত্রিপাঠী জানান, ‘আমরা আদালতের নির্দেশ খতিয়ে দেখছি। দেখতে হবে কিসের ভিত্তিতে আদালত ওই পোস্টার সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে যাঁরা রাষ্ট্রের সম্পত্তি ধ্বংস করছে, তাদের কোনওভাবেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। দাঙ্গাবাজদের পোস্টার যদি সরিয়েও নেওয়া হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে যেমমন মামলা চলছে, তেমনি মামলা চলবে।
সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে পড়ে উত্তর প্রদেশ। ঘটনায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়। বহু ভাঙচুর হয়। ভাঙচুর যাঁরা করেছেন, তাদের থেকে ক্ষতিপূরণ আদালয় করতে হবে, তা ঘোষণা করে উত্তর প্রদেশের সরকার। এই বিষয়ে উত্তর প্রদেশ প্রশাসন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেয়। দাঙ্গাকারীদের ছবি, নাম ও পোস্টার-সব লখনউয়ের রাস্তায় একটি পোস্টার টাঙায় বিজেপি। বিজেপির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এক ব্যক্তি। সেই মামলাতেই রায় দেওয়ার সময় এলাহাবাদ হাইকোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অবিলম্বে ওই পোস্টার সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়।