কর্ণাটর: অবষেশে বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা৷ ১৪ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হওয়ার পর আস্থা ভোট ঘিরে জারি হয় ধোঁয়াশা৷ আজ, আস্থা ভোটে বিজেপির দখলে যায় ১০৬ বিধায়কের সমর্থন৷ কুমারস্বামীর জোটের পক্ষে আসে ১০০ বিধায়কের সমর্থন৷ ফলে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি থাকায় আপাতত কর্ণাটক সরকার চালিয়ে যেতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা৷
দীর্ঘ নাটক শেষে গত ২৩ জুলাই কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের হার হয়৷ সরকার গঠন করে বিজেপি৷ কর্ণাটকে জেডিএস-কংগ্রেস সরকারের বেশ কয়েকজন বিধায়ক পদত্যাগ করায় সঙ্কটে পড়ে সরকার৷ অনাস্থা ভোটে ১৭ জন বিধায়ক বিধানসভায় গরহাজির ছিলেন৷ ১২ জন কংগ্রেসের ও ৩ জন জেডিএস বিধায়ক ভোটে অংশ নেননি৷ ফলে, শুরু থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে পড়ে৷ ১৭ জন বিধায়ক অনুপস্থিত থাকার ফলে বিধানসভায় ২০৮ জন সদস্যকে নিয়ে আস্থাভোট হয়৷ ১০৫ বিধায়কের সমর্থন নিয়ে কর্ণাটক দখল করে বিজেপির৷ জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন ৯৯ জন বিধায়ক৷ জোট সরকারের পতনের পর মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন ইয়েদুরাপ্পা৷ আজ ছিল ইয়েদুরাপ্পা অগ্নিপরীক্ষার দিন৷ ইয়েদুরাপ্পা সরকারের পক্ষে আস্থা ভোট করানো হয়৷ ১৪ জন পদত্যাগী বিধায়কের পদ খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ৷ এই নিয়ে শুরু হয় নয়া জল্পনা৷
Karnataka Chief Minister BS Yediyurappa wins trust vote through voice vote. pic.twitter.com/DvzzMmYCqa
— ANI (@ANI) July 29, 2019
HD Kumaraswamy: Power is not permanent, even for Narendra Modi and JP Nadda. We will not try to bring down your number from 105 to either 100 or lower. You speak of drought, at least now let’s see how you will work. We will cooperate with you for the sake of people. #Karnataka https://t.co/XFDzstjAOX
— ANI (@ANI) July 29, 2019
গত বছর কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই চরম নাটক দেখা দেয়৷ ২২৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি এককভাবে ১০৪টি আসনে জয়লাফ করে৷ যদিও ম্যাজিক ফিগার থেকে ৮ কদম দূরে থামতে হয়েছে৷ কর্ণাটক বিধানসভার সরকার গঠন নিয়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোট ও বিজেপি উভয়পক্ষ হাজির হয় রাজ্যপালের কাছে৷ রাজ্যপাল সরকার করার জন্য ডাক দিয়েছিলেন বিজেপিকে৷ এরপরই বিজেপির পদপ্রার্থী ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে নেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর শপথের পর নাটকীয় পটপরিবর্তন ঘটে৷ কংগ্রেস-জেডিএস জোট তারা হাজির হয় সুপ্রিম কোর্টে৷ সুপ্রিম কোর্টের কথামতো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আস্থাভোটে যেতে হয় বিজেপিকে৷ তখন আস্থা ভোটের আগেই ইস্তফা দিয়ে দিলেন ইয়েদুরাপ্পা৷ সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপাল কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে ডাকেন৷ এইচ ডি কুমারস্বামী শপথ নেন মুখ্যমন্ত্রীর পদে৷ তার পর থেকে লাগাতার চাপে পড়তে থাকে কুমারস্বামী সরকার৷ নিজের দলের বিধায়কদের বিদ্রোহের জেরে ফের সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন এইচ ডি কুমারস্বামী৷ অনস্থা ভোটে ঘটে পরাজয়৷