আস্থা ভোটে জয়ী ইয়েদুরাপ্পা, টিকল মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ

কর্ণাটর: অবষেশে বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা৷ ১৪ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হওয়ার পর আস্থা ভোট ঘিরে জারি হয় ধোঁয়াশা৷ আজ, আস্থা ভোটে বিজেপির দখলে যায় ১০৬ বিধায়কের সমর্থন৷ কুমারস্বামীর জোটের পক্ষে আসে ১০০ বিধায়কের সমর্থন৷ ফলে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি থাকায় আপাতত কর্ণাটক সরকার চালিয়ে যেতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা৷ দীর্ঘ

আস্থা ভোটে জয়ী ইয়েদুরাপ্পা, টিকল মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ

কর্ণাটর: অবষেশে বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা৷ ১৪ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হওয়ার পর আস্থা ভোট ঘিরে জারি হয় ধোঁয়াশা৷ আজ, আস্থা ভোটে বিজেপির দখলে যায় ১০৬ বিধায়কের সমর্থন৷ কুমারস্বামীর জোটের পক্ষে আসে ১০০ বিধায়কের সমর্থন৷ ফলে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি থাকায় আপাতত কর্ণাটক সরকার চালিয়ে যেতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা৷

দীর্ঘ নাটক শেষে গত ২৩ জুলাই কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের হার হয়৷ সরকার গঠন করে বিজেপি৷  কর্ণাটকে জেডিএস-কংগ্রেস সরকারের বেশ কয়েকজন বিধায়ক পদত্যাগ করায় সঙ্কটে পড়ে সরকার৷ অনাস্থা ভোটে ১৭ জন বিধায়ক বিধানসভায় গরহাজির ছিলেন৷ ১২ জন কংগ্রেসের ও ৩ জন জেডিএস বিধায়ক ভোটে অংশ নেননি৷ ফলে, শুরু থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে পড়ে৷ ১৭ জন বিধায়ক অনুপস্থিত থাকার ফলে বিধানসভায় ২০৮ জন সদস্যকে নিয়ে আস্থাভোট হয়৷ ১০৫ বিধায়কের সমর্থন নিয়ে কর্ণাটক দখল করে বিজেপির৷ জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন ৯৯ জন বিধায়ক৷ জোট সরকারের পতনের পর মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন ইয়েদুরাপ্পা৷ আজ ছিল ইয়েদুরাপ্পা অগ্নিপরীক্ষার দিন৷ ইয়েদুরাপ্পা সরকারের পক্ষে আস্থা ভোট করানো হয়৷ ১৪ জন পদত্যাগী বিধায়কের পদ খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ৷ এই নিয়ে শুরু হয় নয়া জল্পনা৷

গত বছর কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই চরম নাটক দেখা দেয়৷ ২২৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি এককভাবে ১০৪টি আসনে জয়লাফ করে৷ যদিও ম্যাজিক ফিগার থেকে ৮ কদম দূরে থামতে হয়েছে৷ কর্ণাটক বিধানসভার সরকার গঠন নিয়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোট ও বিজেপি উভয়পক্ষ হাজির হয় রাজ্যপালের কাছে৷ রাজ্যপাল সরকার করার জন্য ডাক দিয়েছিলেন বিজেপিকে৷ এরপরই বিজেপির পদপ্রার্থী ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে নেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর শপথের পর নাটকীয় পটপরিবর্তন ঘটে৷ কংগ্রেস-জেডিএস জোট তারা হাজির হয় সুপ্রিম কোর্টে৷ সুপ্রিম কোর্টের কথামতো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আস্থাভোটে যেতে হয় বিজেপিকে৷ তখন আস্থা ভোটের আগেই ইস্তফা দিয়ে দিলেন ইয়েদুরাপ্পা৷ সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপাল কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে ডাকেন৷  এইচ ডি কুমারস্বামী শপথ নেন মুখ্যমন্ত্রীর পদে৷ তার পর থেকে লাগাতার চাপে পড়তে থাকে কুমারস্বামী সরকার৷ নিজের দলের বিধায়কদের বিদ্রোহের জেরে ফের সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন এইচ ডি কুমারস্বামী৷ অনস্থা ভোটে ঘটে পরাজয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *