নয়াদিল্লি: গতকাল মারাত্মক ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গিয়েছে নাগাল্যান্ডে এবং যার জেরে উত্তাল গোটা দেশ। কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘটনায় যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে এবং সংসদে আজই বিবৃতি দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নাগাল্যান্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে এবং আহত বহু। ইতিমধ্যেই নাগাল্যান্ড পুলিশ আধা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। সবমিলিয়ে নাগাল্যান্ডের পরিস্থিতির যথেষ্ট জটিল কিন্তু প্রশ্ন এত বড় ঘটনা ঘটলো কী ভাবে।
গোটা ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট চাপে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং তারা মূলত গোয়েন্দা রিপোর্টকেই দায়ী করছে। তাদের বক্তব্য, ভুল গোয়েন্দা রিপোর্টের জন্য এত বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল ওই রাস্তা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটছে এবং সেই তথ্য পাওয়ার পরেই সেনাবাহিনী ওই এলাকায় অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়। নিরাপত্তা বাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিট সেখানে আগে থেকেই মোতায়ন করা হয়েছিল। এরপরে গুলি চালানোর আগে সেনারা গোয়েন্দা তথ্য মিলিয়ে যখন দেখে তখন তাদের তথ্যের সঙ্গে ওই গ্রামবাসীদের গাড়ির এবং গ্রামবাসীদের বর্ণনা হুবহু মিলে যায়। সেই সেই প্রেক্ষিতে অভিযানে নিহতদের সংখ্যাও মিলে যায়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে গোটা অভিযানটাই ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, এইভাবে ভুল তথ্য কী ভাবে পেলেন এবং সেই তথ্য যাচাই না করে কেন সেনাবাহিনীকে দেওয়া হল।
রাতের অন্ধকারে নাগাল্যান্ডের ওটিং গ্রাম থেকে একটি পিকআপ ভ্যানে চেপে ফিরছিলেন গ্রামবাসীরা। সন্ত্রাসবাদী ভেবে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। গ্রামবাসীদের কথায়, নিহত গ্রামবাসীরা খনি থেকে কাজ সেরে রাতে ঘরে ফিরছিলেন৷ ইতিমধ্যেই আধাসেনার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করেছে নাগাল্যান্ড পুলিশ৷ এফআইআর-এ বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় পুলিশের গাইড ছাড়াই অভিযান চালানো হয়েছে৷ স্থানীয়দের খুন ও আহত করাই নিরাপত্তাবাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল৷’