কতটা বেড়েছে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি? কেন্দ্রের রিপোর্টে সিঁদুরে মেঘ

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোটা দেশ জুড়ে লকোডাউন জারি থাকায় হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স (ডব্লিউপিআই) সংক্রান্ত রিপোর্ট গতমাসে প্রকাশ করেনি কেন্দ্র। অবশেষে মে মাসের রিপোর্ট প্রকাশ করল বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক। সোমবার প্রকাশিত সেই রিপোর্ট অনুসারে, চলতি বছরের মে মাসে মাসিক পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতি ৩.২১ শতাংশ কমেছে। জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম কমার ফলেই এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞ মহলের।

নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোটা দেশ জুড়ে লকোডাউন জারি থাকায় হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স (ডব্লিউপিআই) সংক্রান্ত রিপোর্ট গতমাসে প্রকাশ করেনি কেন্দ্র। অবশেষে মে মাসের রিপোর্ট প্রকাশ করল বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক। সোমবার প্রকাশিত সেই রিপোর্ট অনুসারে, চলতি বছরের মে মাসে মাসিক পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতি ৩.২১ শতাংশ কমেছে। জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম কমার ফলেই এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞ মহলের।

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক সোমবার এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, মাসিক হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের ভিত্তিতে ২০২০ সালের মে মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৩.২১ শতাংশ কমেছে। গত বছর ওই সময়ে মুদ্রাস্ফীতি ২.৭৯ শতাংশ বেড়েছিল। বর্তমান অর্থবছরে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি কমার কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত মাসে অপরিশোধিত তেলের মূল্য হ্রাসের ফলেই এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও চাহিদা তুলনামূলকভাবে কমার বিষয়টিও তুলে ধরেছে তারা। সংবাদসূত্রের খবর, এদিকে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি গত মাসের তুলনায় কমেছে। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, বর্তমান মাসে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাবে। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন।

এর আগে লকডাউনের জেরে ২৫ মার্চ থেকে এই সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করেনি সংশ্লিষ্ট দফতর। তবে লকডাউনের জন্য তথ্য সংগ্রহে অসুবিধা দেখা দিলেও মন্ত্রকের তরফে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফিল্ড অফিসারদের ওই তথ্য সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে মন্ত্রকের তরফে। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আগামী মাসেই প্রকাশ করা হবে রিপোর্ট। সেই নির্দেশ অনুসারে কাজও শুরু হয়েছে এবং ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রক। ন্যাশনাল ইনফর্মেটিক্স সেন্টারের (এনআইসি) তত্ত্বাবধানে এই কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + four =