নয়াদিল্লি: বিশাখাপত্তনামে একটি কেমিক্যাল প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস লিক করেছে। কেমিক্যাল প্লান্ট থেকে গ্যাস পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। বিষাক্ত গ্যাসে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়। বহু মানুষকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই কেমিক্যাল প্ল্যান্টের তিন কিলোমিটারের মধ্যে ২০০ থেকে ২৫০টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বিশ্বে বহুবার গ্যাস লিকের মতো ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানিও হয়েছে।
১৯৩৭ সালের ১৮ মার্চ, টেক্সাসের একটি স্কুলের বেসমেন্টে প্রাকৃতিক গ্যাস বিস্ফোরণে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। টেক্সাসের নিউ লন্ডনের ১২০০ জন পড়ুয়া ছিল।
১৯৮৪ সালের ভোপালে গ্যাস দুর্ঘটনা বিশ্বের সব থেকে বড় গ্যাস দুর্ঘটনা। রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, বিংশ শতাব্দীতে সব থেকে বড় ভয়ানক ঘটনা। প্রায় ৪০ টন মিথাইল গ্যাস লিক হয়ে যায়। ঘটনায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভোপালের ওই কেমিক্যাল প্লান্টটি মার্কিন সংস্থার অধীনে ছিল। ঘটনায় ৩,৩৮৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
১৯৮৮ সালে পিপার আলফা ডিজাসটার। তেলের ক্ষেত্রে সব থেকে দুর্ঘটনা ঘটে। ৬ জুলাই এই দুর্ঘটনা ঘটে। তেলের পাইপে দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে প্রায় ১৬৭ জন মারা গিয়েছে।
১৯৮৯ সালে ৪ জুন। উফা ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে সোভিয়েত ইউনিয়ন ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় ৮০০ জন মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রেল লাইনের কাছে একটি গ্যাসের পাইপ লিক হয়ে যায়। ঘটনার বাতাসে আগুন ধরে যায়।
মেক্সিকোর গুয়াডালাজারা গ্যাস বিস্ফোরণ, গ্যাস লাইনে লিক হয়ে ১২টা বিস্ফোরণ হয়। ১০.০৫ থেকে ১১.১৫ য়ের মধ্যে ১২টা গ্যাস বিস্ফোরন হয়। ১৯৯২ সালের ২২ এপ্রিল ঘটনা ঘটে। ২০০ জনের বেশি মারা গিয়েছিলেন। ৬০০ জন গুরুতর অসুস্থ হন। ঘটনায় আট কিলোমিটার রাস্তা খারাপ হয়ে যায়।
২০০৬ সালের বেজিংয়ে গ্যাস লিকের ঘটনা। চিনে এই ঘটনায় ২০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে জানা প্রথমে একটি প্ল্যাটফর্মে গ্যাস লিক করে। সেখান থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় দুটো প্ল্যাটফর্মের ৪৪ জন কর্মী আটকে পড়েছিলেন বলে জানা যায়।
২০১৪ সালের তাইওয়ানের কাউসিয়াং শহরে গ্যাস দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ২৫ জন মারা জন মারা গিয়েছিলেন। ২৬৭ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাটির নীচ থেকে গ্যাসের পাইপলাইনে বিস্ফোরণ হয়। প্রায় ২০ বছর মাটির নীচের পাইপলাইনের দেখাশোনা হয়নি।
চিনের হুনান প্রদেশে তেলের লাইনে বিস্ফোরণ হয়। ২০১৭ সালের মে মাসের ওই বিস্ফোরণে ৫৫ জন কর্মী আটকে গিয়েছিল। ইরানে গ্যাস লিক। ২০১৭ সালের ১৭ অগস্ট মাসে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ ইরানের ক্লোরিন গ্যা্কস লিক হয়ে যাওয়ার ফলে প্রায় ৪০০ জনের শরীরে শারীরিক বা শ্বাসযন্ত্রে ব্যাপক সমস্যা দেখা দেয়।