ওয়াশিংটন: করোনা মোকাবিলায় এবার ভারতের পাশে দাঁড়াল বিশ্ব ব্যাংক৷ বাড়িয়ে দিল আর্থিক সাহায্যের হাত৷ ভারতে কোরানাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের আরও ভালো ভাবে স্ক্রিন করা, আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং উন্নত ল্যাবরেটরির জন্য বৃহস্পতিবার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার মঞ্জুর করল বিশ্ব ব্যাঙ্ক৷ এই অর্থ ব্যবহার করা হবে পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপনমেন্ট (পিপিই) উৎপাদন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির কাজেও৷ ভারত ছাড়াও উন্নয়নশীল আরও ২৫টি দেশ এই সহায়তা পাবে। পাশাপাশি আরও ৪০টি দেশকে সহায়তার কথা জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। তবে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ সাহায্য ভারতের জন্য মঞ্জুর করেছে তারা।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংক জানিয়েছে, ‘‘ জরুরি ভিত্তিতে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের এই আর্থিক সহায়তা ভারতে স্ক্রিনিং, সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা, টেস্টিং কিট, পিপিই ক্রয় এবং নতুন আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির কাজে বিশেষ সহায়ক হবে।’’
করোনার মতো জরুরি পরিস্থিতিতে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য আর্থিক সহায়তার অঙ্গ হিসাবেই ভারতের জন্য বরাদ্দ করা হল এই অনুদান৷ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক গ্রুপ বৃহত্তর ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ করছে৷ উন্নয়নশীল দেশগুলি যাতে কোভিড-১৯ পেন্ডামিকের বিরুদ্ধে শক্তহাতে রুখে দাঁড়াতে পারে এবং বিশ্ব অর্থনীতি যাতে শীঘ্রই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে সেই চেষ্টাই করছি৷’’
দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়াই বিশ্ব ব্যাঙ্কের লক্ষ্য৷ পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিকে চাঙ্গা করা এবং দরিদ্রদের সাহায্য করার উদ্দেশ্য নিয়েই এগিয়ে চলেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক৷ গোটা বিশ্বের একাধিক দেশ সামিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। হাজার গবেষণা, একের পর এক ট্রায়াল, লকডাউনের পরও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না পরিস্থিতি। চিন থেকে শুরু করে ইতালি, স্পেন, আমেরিকা বেড়ি চলেছে মৃত্যু মিছিল৷ চিন কিছুটা সামালে উঠলেও, আমেরিকার পরিস্থিতি ক্রমেই শোচনীয় হচ্ছে। সারাবিশ্বে মৃতের সংখ্যা পেরিয়েছে ৫০ হাজার। আক্রান্ত ১০ লক্ষেরও বেশি।
বৃহস্পতিবার ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দু'হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৩৫ জনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। যার জেরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০৬৯ জন।
বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদরা এর মধ্যেই জানিয়েছেন, করোনার জেরে ভারতের আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ এই অর্থবর্ষে বেড়ে অনেকটাই বাড়বে৷ খরচ সামলাতে সরকারকে আরও ঋণ নিতে হতেও পারে। তলানিতে ঠেকেছে বিশ্ব অর্থনীতি৷ সেইসঙ্গে মহামারী রুখতে খরচ বেড়েছে অনেকটা। এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সাহায্যের হাত বাড়াল বিশ্ব ব্যাঙ্ক৷