নয়াদিল্লি: করোনা আবহে এখন জোড় কদমে চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম৷ ফলে একদিকে যেমন অফিস যাওয়ার ঝঞ্ঝাট নেই, তেমনই বাঁচছে যাতায়াতের খরচও৷ তার উপর করোনার জেরে বাড়ির বাইরে খাওয়া খরচ, শপিং খরচও আগের চেয়ে অনেক কমেছে৷ কিন্তু আপত খরচ কমলেও, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য পরবর্তী সময়ে আপনার ঘাড়ে চাপতে পারে বাড়তি করের বোঝা!
আরও পড়ুন- ফিল্মি কায়দায় নিজেকে অপহরণের ছক কষল ১৪ বছরের বালক
গত জুলাই মাসে নয়ডা ছেড়ে ঋষিকেশে নিজের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন ২৪ বছরের ঋষব চৌধুরী৷ মার্চে লকডাউনের পর থেকেই কোম্পানির নির্দেশে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন তিনি৷ নিজের বাড়ি চলে যাওয়ার পর বাড়ি ভাড়ার জন্য বরাদ্দ বেতনের ১৫ শতাংশ টাকা সঞ্চয় হচ্ছে তাঁর৷ কিন্তু যতদিন নিজের বাড়িতে থাকবেন, ততদিন হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স (এইচআরএ)-এ কর ছাড় দাবি করতে পারবেন না তিনি৷ কারণ নিজের বাড়িতে থাকলে আর কর মুক্ত থাকবে না এইচআরএ৷ কোনও কারণে কেউ যদি ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দেন এবং এই মুহূর্তে তাঁকে ভাড়া গুনতে না হয়, তাহলে তাঁর করের বোঝাও বেড়ে যাবে৷
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে বহু সংস্থাই তাঁদের কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দিয়েছে৷ যার জেরে অনেকেই কর্মস্থলের ভাড়া বাড়ি ছেড়ে নিজেদের বাড়ি ফিরে গিয়েছেন৷ কেউ বা দরাদরি করে ভাড়া কমিয়ে নিয়েছেন৷ এক্ষেত্রে কী হতে পারে৷ দেখা যাক এইচআরএ কী ভাবে হিসাব করা হয় এবং কী ভাবেই বা বাড়ছে কর দেওয়ার দায়বদ্ধতা৷
আরও পড়ুন- শচীনের দাবি মিটিয়ে রাজস্থানে অজয়! জট কাটাতে তৈরি ৩ সদস্যের কমিটি
ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি ১৫ হাজার টাকা এইচআরএ পেয়ে থাকেন এবং সমপরিমাণ টাকাই বাড়ি ভাড়া দিতে হয় তাঁকে৷ কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তিনি যদি ৯ মাস বাড়ি ভাড়া না দিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর কর যোগ্য উপার্জন বেড়ে দাঁড়াবে ১,৩৫,০০০ টাকা৷ যদি কোনও কর্মী ২০ শতাংশ ট্যাক্স ব্র্যাকেটে পড়েন, তাহলে তাঁকে ২৭ হাজার টাকা কর দিতে হবে৷ তবে তিনি যদি পরিবারের কোনও সদস্যের বাড়ি ভাড়া বহন করেন, তাহলে কর ছাড়ের দাবি করতে পারেন৷
ট্যাক্স কানেক্ট অ্যাডভাইসরি সার্ভিসেস এলএলপি-র বিবেক জালান বলেন, ‘‘কোনও কারণে কোনও কর্মী ভাড়া বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়ি থেকে কাজ করলে, বাড়ি ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি আর থাকছে না৷ ফলে কোনও কর ছাড়ও থাকছে না৷ বরং এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কর দেওয়ার দায়বদ্ধতা আরও বেড়ে যায়৷’’