নয়াদিল্লি: সংসদের বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনে নারী সংরক্ষণ বিলে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট৷ লোকসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। শুধু লোকসভায় নয়, রাজ্য বিধানসভাতেও মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ সেই বিল লোকসভায় পাশ হয়ে গেল। এই বিলের পক্ষে ভোট পড়ল ৪৫৪, আর বিপক্ষে মাত্র ২।
১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৮১তম সংশোধনী বিল হিসাবে লোকসভায় প্রথম এই বিলটি পেশ করেছিল। তবে, লোকসভা ভেঙে যাওয়ায় এটি বাতিল হয়ে যায়। পরে ১৯৯৮ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ফের রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করে। কিন্তু, সেইবারও বিলটি পাশ হয়নি। এরপর তিন-তিনবার এই বিল পাশের চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হয়। অবশেষে ২০২৩ সালে নরেন্দ্র মোদীর সরকার এই বিল পাশ করাতে সক্ষম হল। তবে এখানে বলেই হবে, ২০১০ সালে রাজ্যসভায় ১৮৬-১ ভোটে পাশ হয়েছিল মহিলাদের সংরক্ষণ বিল। তবে, এই বিল নিয়ে এতদিন পর্যন্ত কখনই লোকসভায় আলোচনা হয়নি।
এদিকে আজই এই বিল পাশের আগে সংসদ তৃণমূল সাংসদরা দাবি করেন, ২০১৪ সাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস দলের অন্দরে ৩৩ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ রয়েছে মহিলাদের জন্য। আর দেশের মধ্যে বাংলাই এমন একটি রাজ্য, যার মুখ্যমন্ত্রী মহিলা। কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বিল পাশের মাধ্যমে মহিলাদের প্রকৃত সম্মান দিতে হবে। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর কথায়, দেশের ১৬টি রাজ্যে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। কিন্তু একটি জায়গাতেও কোনও মহিলাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়নি।