পুণে: করোনার থাবায় দেশজুড়ে মৃত্যুমিছিল যখন বাঁধ মানছে না, তখন সামনে এল অদ্ভুত খবর৷ করোনায় মৃত এক বয়স্ক মহিলাকে চিতায় শোয়ানো হয় এবং তাতে আগুন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উঠে বসে পড়েন তিনি৷ একেবারে সিনেমার পর্দায় যেমন হয়৷ বাস্তবে এমন ঘটনা খুবই বিরল৷ তাই পুণের এই ঘটনাটি সকল্র দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে৷
মহারাষ্ট্রের পুণে শহরের মুধলে গ্রামের বাসিন্দা ৭৮ বছর বয়সী শকুন্তলা গায়কওয়াদের কিছুদিন আগে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ তিনি করোনা আক্রান্ত জানার পরই সংক্রমিত হওয়ার কারণে তাঁকে বাড়িতে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। এরপরে বার্ধক্যজনিত কারণে কিছু গুরুতর উপসর্গও তাঁর মধ্যে দেখা যেতে শুরু করে। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১০ মে তাঁর পরিবারের সদস্যরা অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। শকুন্তলাদেবীকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে শায়িত রেখে তাঁর পরিবার হাসপাতালে পৌঁছে সেখানে বেডের ব্যবস্থাও করছিল৷ সেই সময় সেখানে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান৷ তিনি জ্ঞান হারাতেই অ্যাম্বুল্যান্স কর্মীরা মহিলাকে মৃত বলে ভাবতে শুরু করেন৷ পরিবারকে সে কথা জানাতেই তারাও ওই কর্মীদের কথা মেনে নেয় এবং নিকট আত্মীদের বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর দিয়ে দেন৷ সেখান থেকে ফের শকুন্তলাদেবীকে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে তাঁর শেষকৃত্যের প্রস্তুতিও শুরু করা হয়।
তাঁকে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে বৃদ্ধার অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় জন্য তাঁকে চিতায় শায়িত করে আগুন জ্বালানো মাত্রই নাকটীয় মোড় নেয় পরিস্থিতি৷ তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে৷ চারিদিকে বীভৎস অবস্থা দেখে তিনি চোখ খুলে কেঁদে ফেলেন এবং তৎক্ষণাৎ উঠে বসে পড়েন৷ এর পরে তাঁকে বারামতির রজতজয়ন্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গ্রামের স্বাস্থ্য আধিকারিক এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এই খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় বৃদ্ধার এলাকায়৷ স্থানীয় বাসিন্দারা অবাক হয়ে যান এই খবর শোনামাত্রই৷