মুম্বই: পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের ওষুধে করোনা সারে না৷ করোনার ওষুধ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে৷ শুক্রবার একথা সাফ জানিয়ে দিলেন মহারাষ্ট্র ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মন্ত্রী রাজেন্দ্র সিংগনে৷
তিনি বলেন, ‘‘পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের ‘কোরোনিল’ দিয়ে করোনার চিকিৎসা হয় না৷ তাঁদের তৈরি ওষুধ করোনা নিরাময়ে সক্ষম বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হলে, পতঞ্জলির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’’ করোনিল নিয়ে মিথ্যে দাবি করা হলে ড্রাগ অ্যান্ড ম্যাজিক রেমেডিজ (আপত্তিজনক বিজ্ঞাপন) আইন, ১৯৫৪ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন সিংগনে৷
তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কেবলমাত্র ইমিউনিটি বুস্টার বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসাবেই করোনিল বিক্রি করতে পারবে পতঞ্জলি৷ ওষুধ হিসাবে করোনিল বিক্রি করা যাবে না৷ গত সপ্তাহে যোগগুরু বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেড দাবি করেছিল, তাঁরা করোনার ওষুধ আবিষ্কার করেছে। এই ওষুধের নাম দেওয়া হয়েছে করোনিল। পতঞ্জলির দাবি, ইতিমধ্যেই কিছু করোনা রোগীদের উপর এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে এবং সাতদিনের মধ্যেই তাঁদের সংক্রমণ সেরে গিয়েছে। জয়পুরের একটি বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের সঙ্গে যৌথভাবে এই ট্রায়াল করা হয়েছে বলেও জানায় পতঞ্জলি৷
করোনার ওষুধ নিয়ে রামদেবের সংস্থার এই দাবিতে হইচই পড়ে যায়৷ এর পরেই নোটিশ পাঠিয়ে পতঞ্জলির কাছে তাদের গবেষণার বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক৷ কাদের উপরে এই ট্রায়াল করা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্যও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে অবশ্য পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের তরফে জানানো হয়, আয়ুষ মন্ত্রক ও তাঁদের সংস্থার মধ্যে কোনও মতবিরোধ নেই৷ তাঁদের দাবি, ‘‘আয়ুষ মন্ত্রক স্পষ্টতই একমত হয়েছে যে, পতঞ্জলি ভালোভাবে ‘কোভিড ম্যানেজমেন্ট’-এর কাজ করেছে৷ করোনিল বিক্রিতে কোনও বাধা নেই৷’’ আয়ুষ মন্ত্রক ও নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদও জানিয়েছে পতঞ্জলি৷