মোদির ডাকে দিল্লি যাবেন মমতা? কোন দিকে বইছে রাজনীতি?

কলকাতা: নির্বাচনী বিবাদ ভুলে নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানিয়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ মমতা-সহ দেশের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীকে নীতি আয়োগের বৈঠকে ডাকা হয়েছে৷ আগামী ১৫ তারিখ রাষ্ট্রপতি ভবনে এই বৈঠক হওয়ার কথা৷ কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে দিল্লির বৈঠকে যাবেন মমতা? সুত্রের খবর, মোদির ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানত কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কার নিয়ে বিস্তারিত

মোদির ডাকে দিল্লি যাবেন মমতা? কোন দিকে বইছে রাজনীতি?

কলকাতা: নির্বাচনী বিবাদ ভুলে নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানিয়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ মমতা-সহ দেশের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীকে নীতি আয়োগের বৈঠকে ডাকা হয়েছে৷ আগামী ১৫ তারিখ রাষ্ট্রপতি ভবনে এই বৈঠক হওয়ার কথা৷ কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে দিল্লির বৈঠকে যাবেন মমতা?

সুত্রের খবর, মোদির ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানত কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বৈঠকে অংশ নেবেন কি না৷ কেননা, যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ গঠনের প্রতিবাদ সবার প্রথম করেছিলেন তিনি৷ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যও মমতার সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি তোলে৷ কিন্তু, সমস্ত আপত্তি অগ্রাহ্য করেই নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার নীতি আয়োগ গঠন করে ফেলে৷ ২০১৪ সালে মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নীতি আয়োগের প্রথম বৈঠকে মমতা যোগ দেননি৷ জানিয়েছিলেন প্রতিবাদ৷ তিনিই একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি ওই বৈঠকে ছিলেন না৷ যদিও মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া এই নীতি আয়োগের কেউ অংশ নিতে পারেন না৷ ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তে রাজ্য সরকারের অন্য কোনও প্রতিনিধি এই  বৈঠকে যোগ দিতে পারবে না৷

নির্বাচন পর্ব শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোদি-মমতা দ্বন্দ্ব বারংবার শিরোনামে এসেছে৷ এর আগে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাবেন বলেও শেষ মুহূর্তে দিল্লি সফর বাতিল করেন মমতা৷ শপথ অনুষ্ঠানেও বিজেপি রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ তুলে মোদির শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করেন মমতা৷ এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের মোদির আমন্ত্রণ ঘিরেও তৈরি হয়েছে জল্পনা৷

তবে, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সুসম্পর্ক থাকা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ তাঁদের মতে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষেই এটা কাম্য৷ প্রথম থেকেই যদি দুই সরকারের মধ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হতে থাকে সেটা আদতে রাজ্যের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের পক্ষে কাঙ্খিত নয়৷ পর্যবেক্ষক মহলের অনেকেই বলছেন, মমতার উচিত, বিরোধ দূরে সরিয়ে রেখে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়া৷ তবে, মমতা আদৌ দিল্লি যাবেন কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়৷

নীতি আয়োগ কী? যোজনা কমিশনকে নতুন মোড়কে হাজির করার কথা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ২০১৪ সালের ১৫ অগস্ট৷ ২০১৫ সালের শুরুতেই যোজনা কমিশনকে নাম পাল্টে রাখা হয় নীতি আয়োগ৷ ১৯৫০ সালে জওহরলাল নেহরুর হাত ধরে পথ চলা শুরু করে যোজনা কমিশন৷ পদাধিকারবলে এই কমিশনের চেয়ারম্যান হন প্রধানমন্ত্রী৷ মূলত পঞ্চবার্ষিকি পরিকল্পনাগুলির বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্যই তৈরি হয় এই কমিশন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *