নয়াদিল্লি: দ্বিতীয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে পাক সীমান্ত উত্তেজনা বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ চলছে যুদ্ধের প্রস্তুতি! এই পরিস্থিতির মাঝেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচন৷ এই রকম স্পর্শকাতর পরিস্থিতি লোকসভা নির্বাচনের ওপর প্রভাব বিস্তার করবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। নির্বাচন কি পরে হবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন৷ মুম্বাইতে এক প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার অশোক জানিয়েছেন, নিজের কর্তব্য পালনের বিষয়ে সংবিধানা দ্বারা আমার হাত পা বাঁধা। যদিও ১৪ ফেব্রুয়ারি হামলার পর থেকে গোটা পরিস্থিতির ওপরেই নজর আছে নির্বাচন কমিশনের।
মুম্বাইয়ের একটি প্রেস কনফারেন্স নির্বাচন কমিশনার অশোক বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের নজর রয়েছে সবদিকেই। নির্বাচনের জন্য মহারাষ্ট্র কতটা প্রস্তুত সেটা দেখার জন্যই দু-দিনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দল গিয়েছে সেখানে। তিনি জানিয়েছেন, তারা সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিটিং করেছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনের সময় সুরক্ষার কথা মতে রেখে, পুলিশের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। নকল ভোটদাতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুললে, তিনি জানান, কোনও এক পার্টি এই প্রশ্ন করেছিল, এবং বলা হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। মহারাষ্ট্রে মোট ৯৫,৪৭৩ টি পুলিং স্টেশন আছে। তিনি জানিয়েছেন প্রথমবার মহারাষ্ট্রে সমস্ত ইভিএম-এর সাথে ভিভিপ্যাট সংযুক্ত রাখা হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতীয় সেনা পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার পরে, পাকিস্তানও চুপ করে বসে নেই, তারাও জবাব দিয়ে চলেছে। ভারতীয় বায়ু সেনা পিওকে-র জঙ্গি ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে, তা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সূত্র অনুসারে ৩০০ জন জঙ্গি মারা যাওয়ার খবর আছে। দেড় মিনিটের মধ্যে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনা। সম্পূর্ণ অপারেশনটা চালাতে ভারতীয় বায়ু সেনার কুড়ি মিনিট সময় লেগেছিল।