কলকাতা: করোনা ভাইরাসের নতুন রূপের সন্ধান মিলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়৷ এরই মধ্যে করোনার নয়া রূপ ‘ওমিক্রন’-এর সঙ্গে ডেল্টার তুলনা করতে শুরু করেছেন অনেকে৷ ওমিক্রন ডেল্টার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে কিনা, তা নিয়ে অতিমারি বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও সংশয় রয়েছে৷ ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হলেও ভারতে এখনও এর হদিশ মেলেনি৷ তবুও প্রশ্ন উঠেছে ওমিক্রন-এর উপর কতটা কার্যকরী হবে ভারতে ব্যবহৃত দুটি টিকা কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড?
আরও পড়ুন- ১৮-র আগেই বিয়ে! মেয়েদের বাল্যবিবাহে বিহার-উত্তরপ্রদেশকে পিছনে ফেলে শীর্ষে বাংলা
ওমিক্রন (বিজ্ঞানের পরিভাষায় বি.১.১.৫২৯) নিয়ে আপাতত যে তথ্য হাতে এসেছে, তার উপর ভিত্তি করে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর মহামারীবিদ্যা এবং সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান সমীরণ পন্ডা জানিয়েছেন, এমআরএনএ টিকাগুলি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকরী নাও হতে পারে। এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি৷ সমীরণ জানিয়েছেন, এমআরএনএ টিকাগুলি স্পাইক প্রোটিন এবং রিসেপ্টরের ইন্টার-অ্যাকশন কেন্দ্রিক হয়ে থাকে৷ ‘ওমিক্রন’-এর ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্যনীয় হয়েছে৷ ফলে সেই পরিবর্তনের ভিত্তিতে এমআরএনএ টিকাগুলিরও পরিবর্তন করা প্রয়োজন৷ সব টিকা কিন্তু একই রকমের হয় না। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন ভিন্নভাবে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধকারী ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
প্রসঙ্গত, ওমিক্রনের প্রভাব এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ এবং তার আশপাশের কিছু এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। পাশাপাশি হংকং, ইজরায়েল এবং আফ্রিকা-ফেরত কয়েক জন পর্যটকের শরীরেও দেখা গিয়েছে করোনা ভাইরাসের নয়া রূপ৷ শুক্রবার ওমিক্রনকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রণের সন্ধান মেলে৷ গত ৯ নভেম্বর আক্রান্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল৷ এই প্রজাতির একাধিক মিউটেশন হয়েছে৷ অর্থাৎ জিনগত পরিবর্তন ঘটেছে৷ গত ১৬ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০০-র কাছাকাছি। ২৫ নভেম্বর তা পৌঁছে গিয়েছে ১,২০০-তে৷ সংক্রমণ বৃদ্ধির এই হার যথেষ্ট উদ্বেগজনক।