চণ্ডীগড়: স্ত্রীকে লুকিয়ে টেলিফোনে তাঁর কথাবার্তা রেকর্ড করা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গের সামিল। এই মর্মে একটি বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় ভাতিন্ডার পারিবারিক আদালতের রায় খারিজ হয়ে গিয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে। গত মাসে এই রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি লিসা গিল বলেন, স্ত্রীকে না জানিয়ে টেলিফোনে তাঁর কথাবার্তা রেকর্ড করা ভারতীয় আইনে গোপনীয়তা ভঙ্গের সামিল৷ ফলে এটি প্রমাণ হিসেবে আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়। বিচারপতি আরও বলেন, কী কারণে এবং কোন পরিস্থিতিতে এই কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছে, তাও স্পষ্ট নয়। এমনকি এই কথোপকথন থেকে স্পষ্ট করে কিছু বোঝাও যাচ্ছে না।
২০০৯ সালে ওই দম্পতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাঁদের একটি কন্যাসন্তান আছে। ২০১৭ সালে অত্যাচারের অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন স্বামী। এই মামলায় তিনি ২০১৯ সালের জুলাইয়ে অতিরিক্ত হলফনামায় স্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তার লিখিত বয়ান ও সিডি আদালতে জমা দেন। পারিবারিক আদালতের বিচারক বলেন, সংশ্লিষ্ট সিডির সত্যতা প্রমাণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীরই। যদিও এটিকে একমাত্র অকাট্য প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি৷ তবে আদালতে স্বামীরই জয় হয়। এরপরই স্ত্রী সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
সেই মামলায় তাঁর আইনজীবী জানান, এই কথোপকথনটি হয়েছিল ডিভোর্সের মামলা দায়ের করার অনেক আগে। কিন্তু স্ত্রীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগে করা মামলার মূল নথিতে তার কোনও উল্লেখ নেই। পরে অতিরিক্ত হলফনামা হিসেবে এটি যুক্ত হয়েছে। এরপরই হাইকোর্ট ভাতিন্ডা আদালতের রায় খারিজ করে দিয়ে বলে, স্ত্রীর অজান্তে টেলিফোনে তাঁর কথোপকথন রেকর্ড করা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গের সামিল৷ এই কথোপকথন মামলার প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করার প্রশ্নই ওঠে না। ফলে এই তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়াও সম্ভব নয়।