জোধপুর: মা হওয়ার ইচ্ছা তার। কিন্তু হতে পারছেন না। কারণ তার স্বামী জেলে বন্দি হয়ে সাজা কাটছেন যাবজ্জীবনের। এই অবস্থায় কী করা উচিত ভেবে পাচ্ছিলেন না মহিলা। শেষে জোধপুর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। ওই মহিলার আর্জিতে সাড়া দিয়েছে আদালত। তার স্বামীকে কিছুদিনের জন্য মুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের তরফে। ১৫ দিনের জন্য ওই মহিলার স্বামী প্যারোলে মুক্তি পাবেন।
আরও পড়ুন-করোনা গ্রাফে খুব একটা হেরফের নেই আজ, বাড়ল টিকাকরণ
যে ব্যক্তি ‘অদ্ভুত’ভাবে প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন তার নাম নন্দলাল। একটি খুনের মামলায় সে বেশ কয়েক বছর ধরে জেল বন্দি। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় রাজস্থানের ভিলওয়াড়া আদালত। কিন্তু এখন তার স্ত্রীর আবেদনের ভিত্তিতে তাকে ১৫ দিনের জন্য ছাড়া হচ্ছে। আদালতের বক্তব্য, নন্দলাল দোষ করে সাজা পাচ্ছে, জেলে রয়েছে, সেটা আইন। কিন্তু তার স্ত্রী কোনও দোষ করেনি। এদিকে মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়া তার অধিকারের মধ্যে পড়ে। সেই কারণে এই আবেদনে আদালত মান্যতা দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই তার স্বামীকে জেল থেকে ছাড়া হচ্ছে প্যারোলে। ওই সময়ের জন্য গর্ভধারণের সুযোগ দেওয়া হবে নন্দলালের স্ত্রী রেখাকে।
এই রায় দেওয়ার সময়ে আদালত হিন্দু শাস্ত্র, বিশেষত ঋগ্বেদ এবং ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্মের প্রসঙ্গ টেনেছে। মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, বংশ বিস্তার ও সংরক্ষণ ভারতীয় সংস্কৃতির মধ্যেই পড়ে। তাছাড়া বলা হয়েছে, এক জন বন্দিকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য তাকে জীবনের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা, সাহায্য করা। তাই সব দিক খতিয়ে দেখে জোধপুরের আদালত এই প্যারোল মঞ্জুর করেছে।