নয়াদিল্লি: ভোট গণনার আগে ইভিএম নিয়ে দেশজুড়ে প্রবল হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন চ্যানেলে কিছু ছবি দেখা গিয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে গাড়িতে করে কিছু ইভিএম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাধারণত বুথ থেকে সরাসরি ইভিএম স্ট্রং রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সামনে তা সিল করা হয় ও স্ট্রং রুমে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিবারাত্র তার ওপরে নজর রাখে। এমনকি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা বা তাঁদের প্রতিনিধিরা নজর রাখার সুযোগ পান। এতসব করার পরেও ইভিএম নিয়ে এই বিতর্ক কেন?
নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা, যেসব জায়গায় এই ইভিএম নিয়ে অভিযোগ উঠেছে যেগুলি হল যেসব ইভিএম ব্যবহার করা হয়নি সেগুলোকে ওই ভাবে গাড়িতে করে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে ইভিএম বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। ইভিএম যদি যান্ত্রিক কারণে কোনওরকম গড়বড় করে তাহলে তা বদল করার জন্য বেশ কিছু ইভিএম প্রশাসনের কাছে থাকে এবং যেখানেই এই ধরনের গন্ডগোলের খবর পাওয়া যায় সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ইভিএম বদল করে দেওয়া হয়। ফলে প্রশাসনের কাছে একগুচ্ছ ইভিএম রাখতে হয় এবং সেটা এই ভোট পরিচালনার জন্য অত্যন্ত জরুরি। এর পর এ নিয়ে কোনওরকম বিতর্কের কোনও অবকাশ থাকে না। কিন্তু বিরোধীরা এই বিষয়টাকে নিয়ে প্রবল হইচই শুরু করেছেন। মঙ্গলবার ২১টি বিরোধী দলের নেতারা নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে ইভিএম নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও, তা উড়িয়ে দিয়েছে কমিশন৷
নির্বাচনের কাজ সঠিকভাবে এবং অবাধ নিরপেক্ষ করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সংবিধানসম্মত অধিকার তাদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সংবিধানসম্মত অধিকার তাদের রয়েছে। তাদের সততা নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত নয়। তারা নিঃসন্দেহে এই বিপুল কাজটা অত্যন্ত সুচারুভাবে সম্পন্ন করেন। কিন্তু তাদেরকেও এই কথাটা মনে রাখতে হবে এখন এই নির্বাচনী যুদ্ধটা, লড়াইটা অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে। যে ধরনের প্রযুক্তি এসেছে এবং যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যে ধরনের কটুতা দেখা দিচ্ছে সেটা অভাবনীয় এবং সেই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন ভবিষ্যতে এমন কিছু করবে যাতে সামান্যতম সন্দেহের কোনও জায়গা না থাকে।