আগরতলা: ত্রিপুরায় পা রেখেই বিপ্লব দেব সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ আগরতলায় পৌঁছনোর পরই অভিষেক বলেন, “চূড়ান্ত নৈরাজ্য চলছে এ রাজ্যে। জঙ্গলরাজ চলছে। সাংবাদিক, পুলিশ, আইনজীবীদের উপর হামলা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।” সায়নীর গ্রেফতারির প্রসঙ্গ উঠতেই বিস্ফোরক অভিষেক৷
আরও পড়ুন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সামনে ধর্না তৃণমূল সাংসদদের! রাজধানীতে বেনজির ঘটনা
আগরতলা পৌঁছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘সায়নী কী দোষ করেছে যে ওঁকে গ্রেফতার করতে হবে? সায়নী শুধু একটা স্লোগান দিয়েছেন। তার জন্য গ্রেফতার করতে হল? বাংলায় এসে খেলা হবে তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলেছিলেন। তা হলে তো তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না কেন?’’ অভিষেক আরও বলেন, ‘‘সায়নী স্লোগান দেওয়ায় ওঁকে গ্রেফতার করা হল৷ আর যাঁরা লাঠি সোটা নিয়ে আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ করল তাঁদের গ্রেফতার করা হবে না কেন? এখনও পর্যন্ত ৫০টি মামলা হয়ছে৷ একটি মামলাতেও কাউকে ডাকা হল না৷ অভিষেকের কথায়, “আমরা মাথা নত করব না। ধমকে চমকে আটকে রাখা যাবে না। আমরা কংগ্রেস, সিপিএম নই।”
এদিকে অভিষেক আসার আগেই বিমানবন্দরে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগকে ঘিরে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, অভিষেকের আসা আটকাতেই পরিকল্পিত ভাবে এই কাজ করা হয়েছে৷ অভিষেক বলেন, ‘‘আপনারা দেখছেন পরিস্থিতি কী হয়েছে৷ শুনছি পরিতক্ত ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে৷ সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে, আইনজীবীদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে৷ পুলিশের উপরেও আক্রমণ হচ্ছে৷ এখানে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই৷’’ বিপ্লব দেবের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, “আপানার যদি রাগ থাকে তা হলে আমার উপর প্রয়োগ করুন। আগরতলার মানুষের উপর কেন অত্যাচার করছেন?’’
অভিষেকের কথায়, “সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করতে হবে। অথচ এখানে মহিলা প্রার্থীদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। পুলিশ একেবারে টেবিলের তলায় লুকিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের মদতে এই কাজ হচ্ছে। পুলিশকে দোষারোপ করছি না। ওঁদেরও চাকরি বাঁচাতে উপরতলার নির্দেশ মেনে তলতে হচ্ছে। আগরতলার মানুষের মান সম্মান রয়েছে। ওঁরা বিজেপি-র কাছে সেটা বিক্রি করবে না।” জোর করে গণতন্ত্র হরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ অভিষেকের।