কেন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই অবতরণ? কারণ স্পষ্ট করলেন ইসরো প্রধান

কেন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই অবতরণ? কারণ স্পষ্ট করলেন ইসরো প্রধান

moon

নয়াদিল্লি: ইতিহাস সৃষ্টি করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতই প্রথম অবতরণ করেছে। গোটা দেশ ইসরোর এই কৃতিত্ব নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা। বিশ্বের আর কোনও দেশ চাঁদের এই অংশ অবতরণ করতে পারেনি এখনও। এখন সবার মনে প্রশ্ন, হঠাৎ চাঁদের এই অংশকেই কেন বেছে নিল ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কী আছে এই অংশে? ইসরোর প্রধান এস সোমানাথ বৃহস্পতিবার এই নিয়ে স্পষ্ট উত্তর দিলেন। 

সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিয়ে ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, মহাকাশ গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ওই অংশে। আলো-আঁধারি পরিবেশ, মাইনাস ২৩০ ডিগ্রির কাছাকাছি ঠান্ডা, এছাড়া খান-খন্দে ভরা বিপজ্জনক জমি হলেও চাঁদের অংশ অনেক তথ্যে ভরপুর। তাই ভারত এই অসাধ্য সাধন করে ভবিষ্যতের গবেষণা আরও উজ্জ্বল করে দিয়েছে। তবে এমন কী কী তথ্যের হদিশ মিলতে পারে সেখান থেকে? সেটাও জানানো হয়েছে। ইসরোর বক্তব্য, জল তো বটেই এই এলাকায় ভূকম্পনের মাত্রা, মাটিতে থাকা রাসায়নিক, এমনকি খনিজ পদার্থের খোঁজ মিলতে পারে। আর তা থেকে এমন কিছু তথ্য হাতে আসবে যা অনন্য। 

এতকিছু ছাড়াও আরও বড় একটি কারণ আছে চাঁদে পাড়ি দেওয়ার। আসলে বিশ্বের নানা দেশের বিজ্ঞানীরা চাইছেন চাঁদে একটা ‘হল্ট’ বানাতে। বিষয়টি হল, বিভিন্ন জায়গায় যেতে গেলে যেমন মাঝে একটা হল্ট বা বিশ্রাম নিতে হয়, মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার জন্য চাঁদ হবে সেই বিশ্রামের জায়গা! লম্বা সফরের ক্লান্তি থেকে নিজেকে দূর রাখতে ‘হল্ট স্টেশন’ যে কাজ করবে, মহাকাশে পাড়ি দেওয়া মানুষের জন্যও চাঁদ সেই কাজ করবে। চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটি স্পর্শ করায় ভারত এই লক্ষ্যপূরণে এক ধাপ এগোল।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =