নয়াদিল্লি: গোয়া, কর্ণাটক, হরিয়ানার পর এবার মহারাষ্ট্র৷ সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে না পারার ব্যর্থতায় চারটি রাজ্য সরকার গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করল কংগ্রেস৷ প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিজেপি ছিল প্রায় হেরে যাওয়ার দিকে৷ কিন্তু শেষ মুহূর্তে সময়মতো প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে মাস্টার স্ট্রোক দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি৷ কিন্তু, বারবার কেন সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে কংগ্রেসের?
সাংবাদিক বৈঠক করে, সংসদে চিৎকার করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস৷ মহারাষ্ট্র সরকার গঠনের জন্য ডাক পাওয়া বিজেপি তাদের অপারগতার কথা জানিয়ে দেওয়ার পরেও শিবসেনা, এনসিবির প্রস্তাব নিয়ে সায় দেয়নি কংগ্রেস৷ এমনকি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার পরেও কংগ্রেস এনসিপি’র দেওয়া শর্ত মেনে নেয়নি শিবসেনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার পরও অকারণে একের পর এক বৈঠক করে সময় নষ্ট করেছে কংগ্রেস৷
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী তাঁর অসুস্থতার সত্ত্বেও কিছুটা সচেষ্ট হয়েছিলেন৷ কিন্তু যে প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের ওপর দলের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তারা সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে আলোচনার জন্য দিনের পর দিন সময় নষ্ট করা ছাড়া কিছুই করে উঠতে পারেনি কংগ্রেস শিবির৷ আর রাহুল গান্ধী কোথায় আছেন, তা তার দলের নেতারাও জানেন না৷
শনিবার মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর অবশ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা সংবাদমাধ্যমে একের পর এক জ্বালাময়ী বক্তৃতা রেখে চলেছে৷ গিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে৷ আজ সেই মামলার শুনানি রয়েছে৷ কিন্তু, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকবে কীভাবে কংগ্রেস? যদিও আহমেদ জানিয়েছেন, ‘নির্লজ্জতা সীমানা ছাড়িয়ে বিজেপি একজোট হয়ে৷’ বিজেপিকে আস্থা ভোট হারানোর শপথ নিয়েছেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, আইন ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে বলেও জানিয়েছেন কংগ্রেস৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে দলকে বাঁচাতে কেন সরকার গঠনের পথে প্রথম থেকে গেল না কংগ্রেস? সিন্ধান্ত নিতে কেন এত দেরি?