নয়াদিল্লি: ১৫ জুন রাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালায় চিন সেনা৷ সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের৷ গালওয়ান উপত্যকায় এই রক্তক্ষয়ী ঘটনার পরেও কেন চুপ করে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী৷ গর্জে ওঠেন চিনের বিরুদ্ধে৷
নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে’, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) কী ঘটছে তা জানতে চায় দেশের মানুষ৷ বুধবার টুইট করে রাহুল বলেন, ‘‘ কেন চুপ করে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী? তিনি এখনও কেন লুকিয়ে রয়েছেন? অনেক হয়েছে৷ আমরা জানতে চাই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কি ঘটেছে৷ আমাদের সেনাদের মারার সাহস কী করে পায় চিন? আমাদের ভূ-খণ্ড দখল করার সাহস ওদের কে দিয়েছে?’’ গালওয়ানের ঘটনার পরই সীমান্ত ইস্যুতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অন্যান্য উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি৷
মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে একটি বিবৃতিতে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছিল, গালওয়ান উপত্যকায় এক কর্নেল-সহ তিন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর হয়েছে৷ কিন্তু রাতে ফের এক বিবৃতিতে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়, গুরুতর আহত আরও ১৭ জন সেনার প্রবল ঠাণ্ডায় মৃত্যু হয়েছে৷ অন্যদিকে, ভারতীয়বাহিনীর প্রত্যাঘাতে চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছে বলেও সেনা সূত্রে খবর৷ প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছিল সংখ্যাটা পাঁচ। কিন্তু রাতে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতীয় সেনার হিসেবে মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জন চিনা সেনার৷
গালওয়ান সংঘর্ষের জন্য চিনকেই দায়ী করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রক৷ অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতির নজর রাখছে ওয়াশিংটন৷ মার্কিন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘‘এলএসি-তে ভারত-চিন সেনার সংঘাতের পরিস্থিতির উপর আমরা কড়া নজর রাখছি৷ ভারতীয় সেনা জানিয়েছে এই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে৷ আমরা তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই৷ শান্তিপূর্ণভাবে এই পরিস্থিতির স্থায়ী সামাধানকে সমর্থন জানাই আমরা৷’’ গত ২ জুন ভারত-চিন সীমান্ত ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি৷