‘অমিত শাহের সঙ্গে কেন সাক্ষাত চাইলেন মমতা? মোদি কি রেফার করলেন তাঁকে?’

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে৷ পুজোর পর বীরভূমে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কলয়া ব্লকের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে অমিত শাহ সময় দিলে তাঁর সঙ্গেও বৈঠকে রাজি বলেও জানানেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েননি বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ এদিন দিল্লিতে বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলা নাম পরিবর্তন নিয়ে কথা

‘অমিত শাহের সঙ্গে কেন সাক্ষাত চাইলেন মমতা? মোদি কি রেফার করলেন তাঁকে?’

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে৷ পুজোর পর বীরভূমে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কলয়া ব্লকের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে অমিত শাহ সময় দিলে তাঁর সঙ্গেও বৈঠকে রাজি বলেও জানানেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েননি বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব৷

এদিন দিল্লিতে বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলা নাম পরিবর্তন নিয়ে কথা হয়েছে৷ বীরভূমের কয়লা ব্লকের অনুমোদন পেয়েছি আমরা৷ সেই কারণে উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি৷ এটা কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়৷ পুরোপুরি সরকারি কর্মসূচি৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখব, যদি তিনি সময় দেন৷’’

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েননি বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘সন্দেহের অবকাশ রয়েছে৷ কৌতূহল রয়েছে৷ সন্দেহ রয়েছে আমাদের৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, রাজ্যের উন্নয়নের জন্য তিনি আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন৷ সেখানে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি৷ কিন্তু রাজ্যের উন্নয়নের জন্য হঠাৎ কেন তিনি দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ সিবিআই যখন রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করতে চাইছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ কেন উন্নয়নের জন্য ছুটে গেলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে? তা নিয়ে আমাদের কৌতুহল থাকবেই৷ আর উন্নয়ন নিয়ে যদি আলোচনায় হয়ে থাকে তাহলে হঠাৎ কেন তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন৷ প্রধানমন্ত্রী কি মুখ্যমন্ত্রীকে অমিত শাহের কাছে রেফার করে দিলেন৷ বললেন, আমার দ্বারা কিছু হবে না৷ যা দেখার অমিত শাহ দেখছেন৷ বাংলার আইন-শৃংখলার খুব তো একটা অবনতি হয়নি৷ জঙ্গিহানাও হয়নি৷ তাহলে হঠাৎ কেন তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন? এই নিয়ে আমাদের কৌতুহল ও সন্দেহ থাকছে৷’’

পাল্টা দিয়েছেন সুজন চক্রবর্তীও৷ জানিয়েছেন, ‘‘বাংলার মানুষকে এতই বোকা, তাঁরা কি কিছুই বোঝেন না, কোনটা সরকারের সঙ্গে সরকারের বৈঠক আর কোনটা নিজেদের বাঁচানোর বৈঠক৷ রাজীব কুমারকে নিয়ে যখন সিবিআই টানাপোড়েন চলছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ কেন ছুটে গেলেন প্রধানমন্ত্রী দরবারে? আবার তিনি কেন বলছেন, তিনি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন? পেছনে কী রহস্য রয়েছে? তা অবশ্যই আমাদের জানা দরকার৷’’

বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে৷ দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দিল্লি আসতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু কিছু কারণে আসতে পারেনি৷ রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ রাজ্যে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে৷ বাংলার নাম পরিবর্তন নিয়ে কিছু বক্তব্য ছিল, সেগুলি জানিয়েছি৷ যদি পুজোর পরে প্রধানমন্ত্রী সময় পান, তাহলে আমাদের রাজ্যে আসে কলয়া ব্লকের উদ্বোধন করবেন৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সময় দিলে দেখা করব৷ রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করব৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *