পুরী : প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমায় অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রভু জগন্নাথ। টানা ১৫ দিন অসুস্থ থাকেন। এই অসুখের পিছনে রয়েছে জগন্নাথ ও তাঁর ভক্ত মাধব দাসের গল্প। জগন্নাথের বড় ভক্ত মাধব দাস জগন্নাথের সেবায় নিজেকে নিয়োগ করেছিলেন। আচমকাই তিনি প্রবল অসুস্থ হয়ে পড়েন। অন্যেরা তাঁকে সাহায্য করতে চাইলে মাধব জানান, জগন্নাথ তাঁকে ঠিকই রক্ষা করবেন। শেষ পর্যন্ত ভক্তের কষ্ট দেখে তাঁকে সেবা করতে আবির্ভূত হন জগন্নাথ। মাধব অবশ্য এসবের কিছুই জানতেন না। জ্ঞান ফিরতেই জগন্নাথকে দেখে তিনি চমকে ওঠেন।
মাধব জানতে চান, আপনি তো চাইলেই আমায় এক মুহূর্তে সুস্থ করে দিতে পারতেন দৈবী ক্ষমতায়! তখন জগন্নাথ মাধবকে জানান, প্রতিটি মানুষকে নিজের ভাগের কষ্টটা ভোগ করতে হয়। যদি তিনি মাধবকে আগেই সারিয়ে দিতেন, তাহলে মাধবকে এই অবশিষ্ট কষ্টটুকু ভোগ করতে আবার জন্ম নিতে হতো। তিনি চান না, তাঁর কোনও ভক্তকে শুধু কষ্ট ভোগ করার জন্য পুনর্জন্ম নিতে হয়। তবে জগন্নাথ এও জানান, মাধবের এখনও ১৫ দিনের অসুখ বাকি রয়েছে। তিনি ওই ক’দিনের অসুখ মাধবের কাছ থেকে তিনি নিজে নিয়ে নিতে চান। স্নানযাত্রার পরের ১৫ দিন জগন্নাথ অসুস্থ থাকেন। এই ১৫ দিন জগন্নাথকে ছাপান্ন ভোগ দেওয়া হয় না। দরজা বন্ধ থাকে মন্দিরের। তাঁকে আয়ুর্বেদিক ভেষজ ভোগ নিবেদন করা হয়। শীতল প্রলেপ লাগানো হয় জগন্নাথের মূর্তিতে।