bjp
কলকাতা: ‘নারীরাই পারে’, সেজন্যই কি নারীশক্তিকে নিয়ে এত প্রতিশ্রুতি ভারতের শাসক দল থেকে বিরোধীদলের৷ বিজেপি বলছে, ক্ষমতায় এলে ৩ কোটি মহিলাকে ‘লাখপতি দিদি’ বানানো হবে। শিল্পাঞ্চলে মেয়েদের হস্টেল, ক্রেশ তৈরিতে জোর দেওয়া হবে, সংসদীয় রাজনীতিতে মেয়েদের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটা কার্যকর হবে৷ শুধু তাই নয় মহিলাদের শারীরিক সমস্যার দিকে নজর আলাদা একটা ফ্যাক্টর৷ অ্যানিমিয়া, স্তন ক্যানসার, জরায়ুর ক্যানসার সারাতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এদিকে বিরোধী দল কংগ্রেসও এই প্রতিশ্রুতিতে পিছিয়ে নেই৷ তারা বলছে, ক্ষমতায় এলে গরিব পরিবারের মহিলাদের বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ, সমকাজে সমবেতন, সুস্থ কাজের পরিবেশ, শহর, মহানগরে মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্যকর শৌচাগার তৈরি, কী নেই কংগ্রেসের ইস্তেহারে। তৃণমূল এদিকে দেশজুড়ে কন্যাশ্রী চালুর বার্তা দিয়েছে৷ কিন্তু কেন নারীশক্তিতে এত ফোকাস জানেন? স্বাধীনতার পর দেশে পুরুষ ও মহিলাদের ভোটে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে পার্থক্য ছিল ১৫ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ মহিলাদের থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি পুরুষ ভোটপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতেন তবে এখন সময়ের সঙ্গে বদলেছে প্রবণতা৷ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাড়ছে মহিলাদের অংশগ্রহণ৷ এ বার ভোটারের মোট সংখ্যা প্রায় ৯৬ কোটি ৮০ হাজার। এর মধ্যে সাড়ে ৪৯ কোটির কিছু বেশি পুরুষ এবং ৪৭ কোটির কিছু বেশি মহিলা৷ আর মনে রাখতে হবে আজকের মহিলা ভোটাররা আর পুরুষ দ্বারা পরিচালিত হন না৷ তাই মহিলারাই সমাজের কাণ্ডারি হয়ে এগোচ্ছে৷