রামমন্দির সত্ত্বেও কেন অযোধ্যায় হেরে গেলেন মোদী?

অযোধ্যা: রাম মন্দির তৈরি করেও অযোধ্যায় কেন হেরে গেল বিজেপি? মোদীর কারিশ্মা কেন ফিকে হল উত্তরপ্রদেশে? অযোধ্যার মানুষ যা বলছেন শুনলে চমকে যাবেন৷ যোগীর মতো…

অযোধ্যা: রাম মন্দির তৈরি করেও অযোধ্যায় কেন হেরে গেল বিজেপি? মোদীর কারিশ্মা কেন ফিকে হল উত্তরপ্রদেশে? অযোধ্যার মানুষ যা বলছেন শুনলে চমকে যাবেন৷ যোগীর মতো নেতাও ফেল হলেন পুরোপুরি

রামমন্দির তৈরি করেও হেরে গেল বিজেপি৷ অযোধ্যার মানুষ কার্যত মুখ ফেরালো মোদীর থেকে কেন উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে মুখ থুবড়ে পড়তে হল বিজেপিকে৷ বিজেপি ফৈজাবাদ থেকে প্রার্থী করেছিল লালু সিংহকে। তার উল্টো দিকে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী ছিলেন এসপির অবধেশ কুমার। মঙ্গলবার ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর সকাল থেকেই অবধেশ এবং লালুর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যায়ের গণনায় ক্রমশ লালুকে পিছনে ফেলে এগোতে থাকেন অবধেশ। শেষ হাসি হাসেন অবধেশ কুমারই৷ তাহলে রামমন্দির তড়িঘড়ি উদ্বোধন করে, রামমন্দির নিয়ে প্রচার করেও কাজে এল না কোনওটাই৷ কিন্তু কেন?

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য বলছে অযোধ্যার সাধারণ মানুষ মারাত্মক ক্ষুব্ধ বিজেপির প্রতি৷ তাদের দাবি বিজেপি মন্দির বানিয়েছে অযোধ্যার বাইরের লোকেদের জন্য কিন্তু অযোধ্যার মানুষের জন্য কাজ করতে ভুলে গেছেন তারা৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন রামমন্দির ও কাছাকাছি এয়ারপোর্ট তৈরির জন্য যেভাবে জমি দখল করা হয়েছে সাধারণ মানুষের থেকে৷ যেভাবে বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে তাদের ঘর, অনেক পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে আর তাদের ক্ষোভের সেই আগুন সরাসরি পড়েছে ভোটবাক্সে এসে৷

উত্তরপ্রদেশে এবারও বইবে মোদী-হাওয়া। বুথফেরত সমীক্ষাতেও একাধিক সংস্থা উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে এগিয়ে রেখেছিল রামমন্দিরকে কেন্দ্র করেই। সোমবার পর্যন্ত সেই তত্ত্বে ভরসা রেখেছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরাও। কিন্তু মঙ্গলবার বিজেপির অঙ্ক একেবারেই মিলল না। উল্টে লালুর হার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, রামমন্দিরের কেন্দ্রেও বিজেপি আর অপরিহার্য রইল না। এদিকে বলা হচ্ছে বিএসপির ভোটও এসপির অবধেশ কুমারের দিকেই গেছে কারণ তিনি দলিত মুখ৷

বিজেপিরও কিছু সমর্থকদের দাবি, রাম মন্দিরের মহিমা বহিরাগতদের প্রভাবিত করতে পারে, তবে শহরের বাসিন্দারা তাদের যে অসুবিধার শিকার হয়েছিল তাতে অনেক মানুষ অসন্তুষ্ট ছিল দলের ভূমিকায়। রাম পথ নির্মাণের সময় , স্থানীয়দের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে তাদের দোকান বরাদ্দ করা হবে কিন্তু তা হয়নি৷ সেই প্রভাবই সরাসরি পরে ভোটবাক্সে৷

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *