নয়াদিল্লি: ভারতে চলা লকডাউন উঠিয়ে নিতে গেলে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে – সাবধানবাণী দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO । বৃহস্পতিবার WHO এর এক উচ্চ আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতে লকডাউন তুলতে গেলে স্থান বিচার করে অতি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। Hotspot বা অতি সংবেদনশীল এলাকার মানুষদের সেই এলাকা থেকে বাইরে যাওয়া চলবে না। নয়ত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া'য় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কোভিড ১৯ সম্পর্কিত WHO এর বিশেষ দূত ডেভিড নাভারো একটি অনলাইন কনফারেন্সে এই কথা বলেছেন। বেনেট বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা এই কনফারেন্স আয়োজন করা হয়েছিল।
নাভারো'র মতে, খুব প্রয়োজন ছাড়া কোনও দেশই লকডাউন করতে চায়না। এখন যা প্রয়োজন, তা হল, চিহ্নিতকরণ এবং আইসলেশন। WHO বিশেষ দূত ভারতে দ্রুত লকডাউন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে প্রশংসা করেন। এই লকডাউনের মধ্যমেই ভাইরাসের প্রসারের সম্ভাবনা কমবে। নাভারো আরও বলেন, এই কম সময়ের মধ্যে ভাইরাসের প্রতিষেধকক তৈরি এবং তা সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। “যদি কপাল ভাল থাকে তবে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে আমরা প্রতিষেধক পেতে পারি, তা সরকারি স্তরে পৌঁছে যেতে পারে।”
অনলাইন কনফারেনসে সেন্টার ফর ভারত-চিন স্টাডি, ও পি জিন্দাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ওয়েনজুয়ান ঝাং বলেন,প্রথনে চিন সমস্যা তকতা গুরুতর তা বুঝতে পারনি। তবে যখন বুঝেছে, তখন স্টেজ-২ ট্রান্সমিশন হয়ে গিয়েছে। সেই সময় সরকার লকডাউন করতে দেরি করেনি। ইতালির বলগোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. বেইরিস গাললেলি বললেন, সে দেশের সরকার বুঝতে দেরি করেছে। তারা প্রথমে মনে করেছে সূদুর পূর্ব, চিনে যা হয়েছে তা ইতালিতে হওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া অর্থনীতির উপর প্রভাব পড়তে পারে ভেবে ইতালি লকডাউনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেছে।