বুধবারই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে ফড়নবিশ সরকারকে৷ মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন মামলার রায়ে মঙ্গলবার জানাল সুপ্রিম কোর্ট৷ খোলা ব্যালটে ভোট করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ আস্থা ভোটের জন্য বিকেল পাঁচটার মধ্যে বিধায়কদের শপথগ্রহণ করতে হবে৷
শপথ গ্রহণের জন্য প্রোটেম স্পিকার বা অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ নিযুক্ত করতে হবে৷ শপথগ্রহণের পরেই নেওয়া হবে আস্থা ভোট৷ সম্পূর্ণ ভোট প্রক্রিয়ার সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে বলেও জানিয়েছে বিচারপতি এন ভি রমণ, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ৷
নিজের দল এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে অন্ধকারে রেখে কংগ্রেস-শিবসেনা জোট থেকে বেড়িয়ে শনিবার বিজেপির সঙ্গে সরকার গঠনের হাত বাড়িয়েছিলেন অজিত পাওয়ার৷ বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে দ্বিতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার সুযোগ করে দিয়ে, নিজে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েছেন৷
এই ঘটনার পরেই এই সরকার অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক বলে দাবি করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় এনসিপি-কংগ্রেস-শিবসেনা জোট৷ বিজেপির সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও আদালতে অভিযোগ জানানো হয় জোটের তরফে৷
সোমবার সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে বিজেপির হয়ে সওয়াল করেন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগি৷ রাজ্যপালের পক্ষ নিয়ে তিনি আদালতকে বলেন যে অজিত পাওয়ারের দেওয়া চিঠিতে ৫৪ জন বিধায়কের সমর্থন থাকায় সব মিলিয়ে তাঁদের কাছে ১৭০ জন বিধায়ক ছিল৷ সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে সরকার গঠনের জন্যে আমন্ত্রণ জানান৷ জোটের হয়ে প্রতিনিধিত্বকারী কপিল সিব্বল বিজেপির এই সরকার গঠনকে ‘গণতন্ত্রের প্রতারণা’ আখ্যা দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আস্থা ভোট করানোর আহ্বান জানান৷
সিব্বলের পাশাপাশি আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি মহারাষ্ট্রে একজন অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ নিয়োগ করে খুব তাড়াতাড়ি আস্থা ভোট করানোর জন্যে আদালতকে অনুরোধ করেন৷ অন্যদিকে সোমবার রাজ্যপাল কেশিয়ারীর কাছে বিধায়কদের সমর্থনের চিঠি জমা দেয় শিবসেনা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং কংগ্রেস জোটের দাবি তাদের কাছেই আছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন, সুতরাং তাঁদেরই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়া হোক৷